ময়মনসিংহের ত্রিশালে বুক ও পেট জোড়া লাগানো দুই কন্যা সন্তানের চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন মানবিক ইউএনও জুয়েল আহমেদ।
বুধবার রাতে উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের পূর্ব চরপাড়া গ্রামের মোঃ আল আমিন ও ফরিদা দম্পত্তির বাড়িতে পরিদর্শনে যান তিনি। এসময় তিনি জোড়া শিশু দুটিকে দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে যান। শিশুর পিতা-মাতাকে সান্তনা দিয়ে ঢাকা পিজি হাসপাতালে পাঠানোর জন্য এ্যাম্বুলেন্সসহ ভর্তির ব্যবস্থা করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোর সকালেই পিজি হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হবে জোড়া শিশুর পরিবার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কালাম শামছুদ্দিন, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান, বৈলর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মশিহুর রহমান শাহানশাহ, ত্রিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খোরশিদুল আলম মজিব প্রমূখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুয়েল আহমেদ বলেন, জোড়া শিশু জন্ম খুবই বিড়ল ঘটনা। আমি ডিসি মহোদয়ের সাথে কথা বলে পরিদর্শন করেছি। কাল সকালের মধ্যেই শিশু দুটিকে ঢাকা বারডেমে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যতটুকু সহযোগীতা করার করবো। এটা মানবিক কাজ। পরিবারটি খুবই অসহায়। বৃত্তবানরা এগিয়ে আসলে শিশুটি চিকিৎসার মাধ্যমে স্বাভাবিক জিবন ফিরে পাবে।
উল্লোখ্য, গত ৩ জুলাই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে বুক ও পেট জোড়া লাগানো দুই কন্যা সন্তানের জন্মদেন ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের পূর্ব চরপাড়া গ্রামের মোঃ আল আমিনের স্ত্রী ফরিদা বেগম। শিশু দুটির হাত, পা, মুখ, মাথা সব কিছুই আলাদা রয়েছে। শুধু তাদের বুক ও পেট জোড়া লাগানো। জোড়া শিশু দুটিকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। এই জোড়া কন্যা শিশুকে দেখকে ভিড় করছে অনেক মানুষ। শিশু দুটির নাম রাখা হয়েছে জান্নাতি ও ফাতেমা।