ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, সকাল থেকে পরিকল্পনা ছিল আমার ওপর হামলা করার। সারা বিশ্ব দেখেছে আমাকে মারার দৃশ্য, এটা নিয়ে ইউরোপিয় ইউনিয়নের (ইইউ) কাছে চিঠি দিবো। ভোট প্রত্যাখান করলাম।’
সোমবার (১৭ জুলাই) রামপুরার বেটার লাইফ হাসপাতালের সামনে থেকে এ ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, এ সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে যাওয়া যাবে না। যারা আমার ওপর হামলা চালিয়েছে ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা ১৭ এর নির্বাচনে সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে। কেন্দ্রে অবৈধ সিল মারার ঘটনায় বাধা দেয়া তারা আক্রমণ করেছে। শেষ মুহূর্তে আঘাত করে আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছে।
ইসির দেয়া বক্তব্যে হিরো আলম বলেন, ইসি নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। যেখানে তিনজনের বেশি কেন্দ্রে ঢোকা যায় না, সেখানে ৭০ জন ইউটিউবার নিয়ে ঢোকার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন পরিবেশ হলে আর নির্বাচনে যাওয়ার কোন ইচ্ছা নেই বলে জানান হিরো আলম।
হিরো আলমের নির্বাচনী কমিটির প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ইলিয়াস হোসেন বলেন, হিরো আলমের ওপর হামলা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেব না। এটা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের কর্মীরাই এ হামলা করেছে। এ নির্বাচন আমরা বর্জন করলাম।
তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণরূপে এই নির্বাচন বয়কট করছি। এখন যদি হিরো আলম বিপুল ভোটে জয়ীও হন তবুও আমরা এই নির্বাচন বর্জন করছি। হিরো আলমের ওপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচার চাই।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গেলে হিরো আলমকে একদল লোক মারধর করে। মারধরের হাত থেকে বাঁচতে হিরো আলমকে দৌড়ে পালিয়ে যেতেও দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে আহত অবস্থায় রামপুরায় অবস্থিত বেটার লাইফ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন তিনি।