হেলাল উদ্দিন, টেকনাফ: বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাং বাহারছড়া ঘাটে বিক্রির জন্য আনা হয়েছে একটি বড় আকারের মাছ। মাছটির নাম কালো পোপা। জেলেরা ৩০ কেজি ওজনের মাছটির দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাবিবপাড়ার বাসিন্দা ও সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় সৈয়দ আহমদের ট্রলারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ট্রলারটি সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া ঘাটে এসে পৌঁছালে মাছটি দেখতে মানুষ ভিড় করেন।
ওই মৎস্য ঘাটের ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক নাম মিকটেরোপারকা বোনাসি (Mycteroperca bonaci)। বায়ুথলি বেশ মূল্যবান বলে পোপা মাছের দাম অনেক বেশি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ট্রলার মালিক বলেন, ২৩ জুলাই নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। এর মধ্যে পেটের দায়ে অনেকে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ট্রলারে করে সাগরে মাছ শিকার করছেন।
তবে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ওই ট্রলারের চালক (মাঝি) মোহাম্মদ উল্লাহ জানান, আজ সকালে মাছ ধরার জন্য সাবরাং ইউনিয়নের বাহারছড়া থেকে পাঁচজন মাঝিমল্লাসহ সৈয়দ আহমদের ট্রলার নিয়ে বঙ্গোপসাগরের দিকে রওনা দেন তাঁরা। এর মধ্যে বারো বাইন নামের এলাকায় গিয়ে জেলেরা জাল ফেলেন। এরপর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছসহ একটি বড় কালো পোপা মাছ আটকা পড়ে। মাছটি জালে ধরা পড়ায় জেলেরা খুশি হয়েছেন।
ট্রলারের মালিক সৈয়দ আহমদ বলেন, এখন পর্যন্ত আবদুর রহমান ও মোহাম্মদ ফারুক নামের দুজন মাছ ব্যবসায়ী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত দাম বলেছেন। আরও বেশি দামের আশায় সন্ধ্যায় মাছটি কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে পাঠানোর কথা চিন্তা করা হচ্ছে।
সাবরাং ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সেলিম বলেন, তিনি পারিবারিক কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় অধিকাংশ নৌযান সাগর থেকে নিরাপদ স্থানে তুলে রাখা হয়েছে। ৩০ কেজি ওজনের পোপা মাছ ধরা পড়ার খবরটি তিনি শুনেছেন। সব সময় জালে এত বড় পোপা মাছ ধরা পড়ে না।