বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে জুয়েল মীর (৪০) নামের এক যুবলীগ নেতার চায়ের দোকানে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। ওই যুবলীগ নেতা বগা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্থানীয় এমপির অনুসারী।
শনিবার (৯জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বগা লঞ্চঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলার ঘটনার ১৮ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসুবকে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, প্রথমবার হামলার পর যুবলীগ নেতা জুয়েল মীর তার দোকানের সামনে দাড়িয়ে হামলার বিচার দাবি করে বলছেন,‘ বগা ইউনিয়নের ত্রাস হাসান হাওলাদার নিজে উপস্থিত থেকে আমার দোকানে হামলা করেছেন। আমাকে মারধর ও দোকান ভাঙুচর ও লুটপাট করেন। স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজের দল করার কারণে উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে হাসান হাওলাদার তার দোকানে হামলা ও মারধর করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাঁচার জন্য আকুতি করে বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদার ও তার ছেলে হাসান হাওলাদাররের হাত থেকে আমাদের বাঁচান।
এসময় হামলাকারীরা রাস্তার ওপর অবস্থান করছিলেন। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করছেন। হামলাকারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় বার যুবলীগ নেতা জুয়েলের মীরের ওপর হামলা করেন।
হামলার শিকার যুবলীগ নেতা জুয়েল অভিযোগ করে বলেন, আমি ও আমার পরিবার স্থানীয় এমপি আ.স.ম ফিরোজের সমর্থক হওয়ার কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ছেলে বগা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান তার বাহিনী নিয়ে আমার দোকানে হামলা করেন। পুলিশের উপস্থিতিতে আমার দোকানে হামলা করা হয়। এর আগেও একাধিক বার আমাকে ও আমার ছোট ভাই আরিফ মীরের ওপর হামলা করা হয়।
জুয়েল মীর আরও বলেন, ঘটনার পর থেকে সন্ত্রাসীরা শোডাউন দিচ্ছেন। আমাকে মেরে ফেলার হুমিক দিচ্ছেন। পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। আমি বাউফলের বাসিন্দা, যারা আমার ওপর হামলা করছে তারাও বাউফলের বাসিন্দা। কিন্তু পুলিশ মামলা করতে বলে দুমকি থানায়।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বগা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান। তিনি বলেন, বাস কাউন্টার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আমি হামলার ঘটনার সাথে আমি জড়িত না।
এ ঘটনায় বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এটিএম আরিচুল হক বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে ঘটনাস্থল বাগ লঞ্চঘাট দুমকি থানার আওতাধীন হাওয়ায় মামলা দুমকি থানায় দায়ের করতে হবে।