ঢাকা-১৭ আসনে হিরো আলমের প্রার্থিতা বাতিল করে তার সাথে নির্বাচন কমিশন অন্যায় করেছে বলে তিনি দাবি করেছেন। আশরাফুল আলম বলেন, কমিশন গুলশান, নিকেতন ও বনানী এলাকার ভোটারদের কাছে যায়নি। তারা গেছে বস্তি এলাকায়। বস্তি এলাকার মানুষ পুলিশ দেখলে এমনিতেই ভয় পায়।
হিরো আলম বলেন, কমিশন কড়াইল বস্তি এলাকায় গেছে। সিভিল ড্রেসে যেতে পারতো, অথচ পুলিশ নিয়ে গেছে। সেখানে চায়ের দোকানদার যখন শুনেছে তাকে খুঁজতে পুলিশ আসছে, তখন সে কিছু না ভেবেই পালিয়ে গেছে। ছয়জন পুলিশ সঙ্গে নিয়ে গেলে কে আপনাকে তথ্য দেবে? আমার সাথে তারা অন্যায় করল।
মনোনয়ন বাতিলের পর প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, ওনারা যে ভোটারের সংখ্যার কথা বলেছে, তা আমি দিয়েছি। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ঋণ খেলাপি ও মামলাসহ কোনও কিছুতেই আমার দোষ খুঁজে পায়নি। বের করেছে কি? তারা (নির্বাচন কমিশন) ১০ জন ভোটার নাকি খুঁজে পায়নি। কিন্তু আমার ভোটাররা এখানে উপস্থিত আছেন, তারা স্বাক্ষরও করেছেন। আপনারা যদি চান তাহলে ভোটারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারা নাকি আমার ১০টা ভোটার খুঁজে পায়নি।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে ফোন করা হয়, তারা নাকি আমার ভোটার খুঁজে পায় না। তখন আমি তাদের নিজেই সহযোগিতা করি। আমরা এক মাস ধরে ৩ হাজার ৩০০ ভোটারের নাম সংগ্রহ করেছি। অথচ তারা পেলো না। আমার ভোটারদের তারা ভালো করে খোঁজেনি।
আদালতে যাবেন কিনা- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, ভোটে পাস করলেও কেন আমাকে ক্ষমতায় বসানো হয় না? প্রতিবার আমার প্রার্থিতা বাতিল করছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, কোর্টে গেলে আমার প্রার্থিতা ফিরে পাবো। কারণ সব প্রমাণ আমার কাছে আছে। আমি অবশ্যই আদালতে যাবো প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য।
হিরো আলম প্রয়োজনীয় এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান।
এছাড়াও মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন– জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থি মো. মামুনুর রশিদ, মো. তারিকুল ইসলাম ভূঁঞা (স্বতন্ত্র), আবু আজম খান (স্বতন্ত্র), আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), মুসাউর রহমান খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. মজিবুর রহমান ও শেখ আসাদুজ্জামান জালাল।
তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে।
গত ১৫ মে এই আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) এর মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।