আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সব পাঠাগার ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, আগে প্রত্যেকটি জেলায় সরকারীভাবে পাঠাগার নির্মাণ করা হত। সেখানে বরাদ্দ দেওয়া হত। প্রচুর বইপত্র দেওয়া হত। জাতীয় গন্থকেন্দ্র থেকে সে বইগুলি পাঠানো হত। পাঠাগারের কোন আন্দোলন এখন আর নেই।
রোববার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপি কার্যালয়ে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার উদবোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী উপস্থিত থেকে প্রধান বক্তা হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। এ অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালী যুক্ত হন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার দলের লোকেরা আজ নানা দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের সব পাঠাগারগুলির বরাদ্দ নিজেদের পকেটে ভরছেন। নামি বেনামি নানা ভাবে নিজেদের ইচ্ছেমত গ্রন্থাগার নির্মাণ করে সেসব গ্রন্থাগারের বরাদ্দগুলি হজম করছে। গ্রন্থাগারের যে আন্দোলন এ আন্দোলনটি আমাদের তৈরী করতে হবে। আজ ১৫টি জেলায় একসাথে যে পাঠাগার গুলি উদ্বোধন করা হবে এটা একটি আন্দোলনে পরিণত করতে হবে। সবাই এ কাজ করে না । যারা করে তাদের উৎসাহিত করতে হবে। রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করতে হলে পাঠাগারকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে প্রতেকটি জেলায় পাঠাগার নির্মাণ করতে হবে।
আমাদের দিকে দেশ ও জাতি তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য। একি সঙ্গে আমাদের চিন্তাশক্তি কেও পরিবর্তন করতে হবে। দেশ ও জাতির উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রতিটি নেতা ও কর্মী সবাইকে বই পড়তে হবে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তা আমাদের এখানে নেই বলেই রাজনীতিতে আজ এত সমস্যা।
এ সময় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলি দলের অবস্থান ও কর্ম পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ সভাপতি নুর করিম, জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সহ সভাপতি ওবাইদুল্লাহ মাসুদসহ বিএনপির অন্যান্য নেতা কর্মী ও সমর্থকবৃন্দ।