বাগেরহাটের মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক নারী। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি বলছেন, ‘ওই নারী কারও প্ররোচনায় মিথ্যাচার করছেন।’
আজ সোমবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, তার শ্বশুর বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বাগেরহাট দ্বিতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে দলিল বাতিলের মামলা করেন। ওই ইস্যুতে বিবাদীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ওসির নির্দেশে প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর, দখলের চেষ্টাসহ নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। গত ১১ ডিসেম্বর সকালে ঘটনা তদন্তের নামে তাঁর বাসায় ঢুকে যৌন হয়রানি করেন ওসি। পরে থানায় একা দেখা করতে বলেন। দেখা করলে সব সমাধান করে দেওয়ারও আশ্বাস দেন তিনি। এ ঘটনার পর ওসি প্রায়ই ওই নারীর বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করে আসছেন।
ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, জমিসংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তখন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে যৌন হয়রানি করা সম্ভব? প্রতিবেশীর সঙ্গে বিরোধে গাছ কেটে ফেলার ঘটনায় করা একটি জিডির তদন্ত করছে পুলিশ। তাতে দেখা যায়, ওই নারীই দোষী। ফলে আদালতে তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন যাবে। এটা জানতে পেরেই ওই নারী নানা অভিযোগ করছেন। আর থানায় কোনো নারী একা এলেও ওসির সঙ্গে দেখা করার সময় একজন নারী কনস্টেবল থাকেন।