ইউক্রেন যুদ্ধে বাংলাদেশের অবস্থান কী?

ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক আগ্রাসন চালানোর প্রেক্ষাপটে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। এই যুদ্ধ বন্ধ করতে রাশিয়াকে হুমকি দিয়ে আসছে পশ্চিমারা। ন্যাটোও ইউক্রেনকে সার্বিক সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো বলেছেন, প্রয়োজনে ইউক্রেনে রুশ অভিযানে তার দেশের সেনারাও অংশ নেবেন। বিবিসি বলছে, তার এই বক্তব্যের পর ইউক্রেনে রাশিয়া যে হামলা শুরু করেছে, তাতে অংশ না নিতে বেলারুশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মাইকেল।

পক্ষ-বিপক্ষ নেওয়ার এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান কী হতে পারে?

এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেছেন, অন্য কোন দেশের বিষয়ে নাক গলানো আমাদের স্বভাব নয়। তাই আপাতত ইউক্রেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, সেখানে যদিও মিলিটারি মুভমেন্ট দেখা গেছে। কিন্তু বাংলাদেশ শান্তি ও স্থিতিশীলতায় বিশ্বাস করে। আলোচনার মধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাস করে। এক্ষেত্রেও তেমনটা হবে বলে আশা করি।

যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের পোল্যান্ডে সরিয়ে নিতে সরকার চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, ইউক্রেনে বসবাসকারীদের বাংলাদেশিদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে, তাতে ইতিমধ্যে ২৫০ জন যুক্ত হয়েছেন। তবে সেখানে ৫০০’র বেশি প্রবাসী আছেন। তাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেনে বাংলাদেশের কোনো দূতাবাস নেই। এরইমধ্যে পাশের দেশ পোল্যান্ডের সরকারের কাছে বাংলাদেশিদের স্থানান্তরের জন্য সহযোগিতা চেয়ে অন এরাইভাল ভিসার অনুরোধ করা হয়েছে। বাংলাদেশিদের তাৎক্ষণিক ভিসা প্রক্রিয়া করতে ইটালি ও জার্মানির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অতিরিক্ত কর্মকর্তা আনা হয়েছে।