নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুইবারের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইনিংস ব্যবধানে হেরে গেল বাংলাদেশ। যদিও দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন লিটন দাস। কিন্তু তাতেও লজ্জার হার এড়াতে পারল না সফরকারীরা।
হ্যাগলি ওভালে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে বাংলাদেশ হেরেছে ইনিংস ও ১১৭ রানে। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫২১ রান করে নিউজিল্যান্ড। দুই ইনিংস মিলিয়েও ওই রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ১২৬ ও পরের ইনিংসে ২৭৮ রান করে অলআউট হয় মুমিনুল হকের দল।
আগের দিন ফলো-অনে পড়া বাংলাদেশ তৃতীয় দিনের শুরুতে ব্যাট করতে নামে। ৪৮ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ওপেনার সাদমান ইসলাম। আরেক ওপেনার নাঈম শেখ অবশ্য এদিন খেলছিলেন বেশ দারুণ। অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বল ছাড়ছিলেন তিনি। কিন্তু হুট করেই খেই হারান। খোঁচা দিয়ে আউট হন সাউথির বলে। দুর্দান্ত ক্যাচ নেন টম ল্যাথাম। ৯৮ বলে ২৪ রান করেন নাঈম।
এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক আশা দেখিয়েও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ৩৬ বলে ২৯ রান করে শান্ত ও ৬৩ বলে ৩৭ রান করেন মুমিনুল। মাঝে আশার আলো হয়ে থাকেন লিটন দাস। দারুণ সব শট খেলেন তিনি। তাকে ভালো সঙ্গও দিচ্ছিলেন নুরুল হাসান সোহান।
কিন্তু হুট করে তিনিও আক্রমণাত্মক খেলতে গিয়ে আউট হন। ৫৪ বলে ৩৬ রান করে সোহান ড্যারেল মিচেলের বলে ক্যাচ তুলে দেন নেইল ওয়েগনারের হাতে। তাতে অবশ্য থামেনি লিটনের দারুণ ব্যাটিং।
নিজের সেঞ্চুরিও পূর্ণ করে নেন তিনি। ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১১৪ বলে ১০২ রান করে আউট হন তিনি। তার আউটের সঙ্গে দ্রুতই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশও। ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে এবাদতের উইকেট নিয়ে ম্যাচের ইতি টানেন রস টেইলর।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ৫২১/৬ (ডিক্লে.) (১২৮.৫ ওভার) (লাথাম ২৫২, কনওয়ে ১০৯, ব্ল্যান্ডেল ৫৭, ইয়ং ৫৪; এবাদত ২/১৪৩, শরিফুল ২/৭৯)
বাংলাদেশ (প্রথম ইনিংস)- ১২৬/১০ (৪১.২ ওভার) (ইয়াসির ৫৫, সোহান ৪১; বোল্ট ৪/৪৩, সাউদি ৩/২৮, জেমিসন ২/৩২)
বাংলাদেশ (দ্বিতীয় ইনিংস) (ফলো অন)- ২৭৮/১০ (৭৯.৩ ওভার) (লিটন ১০২, মুমিনুল ৩৭, সোহান ৩৬; জেমিসন ৪/৮২, ওয়্যাগনার ৩/৭৭)