বিশ্বজুড়ে ক্রিসমাস উইকেন্ডে ওমিক্রন আতঙ্কে ৬ হাজার ৩শ’রও বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া বিলম্বিত হয়েছে হাজার হাজার ফ্লাইট।
ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইটঅ্যাওয়ার.কম-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে শনিবার প্রায় ২ হাজার ৮’শ ফ্লাইট বাতিল করা হয়ছে। এর মধ্যে ৯৭০টিরও বেশি হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা- যাওয়ার ফ্লাইট। এছাড়া ৮ হাজারেরও বেশি ফ্লাইটে বিলম্ব ঘটেছে।
এদিকে শুক্রবার বিশ্বজুড়ে কমপক্ষে ২ হাজার ৪০১টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ১০ হাজার ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে।
ফ্লাইটঅ্যাওয়ার.কম আরও বলছে, ওমিক্রন আতঙ্কে ক্রিসমাস উইকেন্ডে এক যুক্তরাষ্ট্রেই যত সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তা সারা বিশ্বে বাতিল হওয়া মোট ফ্লাইটের এক-চতুর্থাংশের বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এবং ডেল্টা এয়ারলাইন্স মিলেই শুক্রবার একদিনে বাতিল ঘোষণা করে প্রায় ২৮০টি ফ্লাইট। এয়ারলাইন্স দু’টির দাবি, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে কর্মী সংকট দেখা দেয়ায় তারা ফ্লাইট বাতিল করছে।
এদিকে এবিসি নিউজ জানায়, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স শুক্রবার প্রায় ২শটি ফ্লাইট বাতিল করেছে, যা সংস্থাটির মোট ফ্লাইটের ১০ শতাংশ। এয়ারলাইন্সটি শনিবার প্রায় ২৫০টি ফ্লাইট বাতিল করেছে। অন্যদিকে ডেল্টা এয়ারলাইন্স শনিবার বাতিল করেছে ৩১০টি ফ্লাইট।
চীনা এয়ারলাইন্সগুলোও সর্বোচ্চ সংখ্যক ফ্লাইট বাতিল করেছে। চায়না ইস্টার্ন বাতিল করেছে এক হাজারেরও বেশি ফ্লাইট। শুক্রবার ও শনিবার এয়ার চায়না বাতিল করেছে তার নির্ধারিত ফ্লাইটের ২০ শতাংশ।
ডেল্টা এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে প্রতিবছরই বিপুল যাত্রীর চাপ থাকে। বিগত বছরগুলোতে আমরা ভালোভাবেই সেই চাপ সামলেছি। কিন্তু এবার যে পরিস্থিতি, তাতে আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছি না।’
এর আগে ইউনাইটেড এয়ারলাইনস এক বিবৃতিতে জানায়, চলতি সপ্তাহে দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ফ্লাইট ক্রু এবং অপারেশন পরিচালনাকারী ব্যক্তিদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে। যার কারণে দুর্ভাগ্যবশত কিছু ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত করোনার ওমিক্রন ধরনে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রতগতিতে বাড়ছে। শুক্রবার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, নতুন করে এখানে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৪৪ হাজার ৪৩১ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বিদের সবচে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস উপলক্ষে ছুটি ও ভ্রমণ মৌসুমেও ফ্লাইট বাতিলে বাধ্য হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।