কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের ৩ সদস্য নিহত হয়েছেন। নিহত সবাই অটোরিক্সার যাত্রী।
বাসস জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার জিংলাতলী এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। এ সময় বাসের অন্তত ২০ যাত্রী আহত হন। আহতদের দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। গুরুত্বর আহত দুই জনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন, উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পেন্নাই গ্রামের হাজারী বাড়ীর মৃত রশিদ হাজারীর স্ত্রী রোসিয়া বেগম (৬২), তার বড় বোন বারপাড়া গ্রামের মৃত রেনু মিয়ার স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা (৬৫) এবং তার পুত্রবধু সুমাইয়া আক্তার (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাসসকে জানান, ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী কে কে ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাস উল্টো পথে আসা অটোরিক্সাকে ধাক্কা দিলে বাসটি মহাসড়কের পাশে খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিক্সার যাত্রী ফজিলাতুন্নেছা এবং রোসিয়া বেগম মারা যায়। অটোরিক্সার অপর যাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনিও মারা যান।
বাসের যাত্রী সোলেমান হোসেন জানান, তিনি ঢাকা থেকে কে কে ট্রাভেলসের একটি এসি বাসে নোয়াখালী যাচ্ছিলেন। গৌরীপুর পার হওয়ার পর জিংলাতলী এলাকায় উল্টো পথে আসা একটি অটোরিক্সাকে রক্ষা করতে গিয়ে তাদের বাসটি খাদে পড়ে যায়। এতে বাসের প্রায় ২০ জন যাত্রী আহত হন।
নিহতদের স্বজন রুহুল আমিন হাজারী বলেন, আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় তিনজন মারা যান।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মহসিন জানান, দূর্ঘটনায় নিহত তিনজন একই পরিবারের সদস্য। তাদের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দূর্ঘটনা কবলিত বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।