২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন সেসময়কার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি সাহাবুদ্দিন লাল্টু। তিনি বলেন, আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে, র’ বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রের তকমা দেবার জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, এও বিশ্বাস করি যে, হাসিনা ঘটনাটি আগে অথবা পরে জানতেন যে, র’ এই কাজটি করেছে। সেজন্য তিনি এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য উন্মোচন না করে এটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
রোববার (১ ডিসেম্বর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামীকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এরপর ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাহাবুদ্দিন লাল্টু এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এটি ছিলো বিএনপির ২০০১-২০০৬ ক্ষমতামলে ঘটে যাওয়া ভয়ানক এক ঘটনা। তারেক রহমানের এরকম ঘটনায় জড়িত থাকার প্রশ্নই উঠে না। দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে এরকম ঘটনায় কখনই জড়িত থাকতে পারেন না। কারণ যারা ক্ষমতায় থাকে, বিরোধী দলের নেতানেত্রীর নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্বও তাদেরই থাকে।
সাহাবুদ্দিন লাল্টু বলেন, হাসিনা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেছেন। কিন্তু গ্রেনেড হামলা বলতে একটা কিছু ঠিকই ঘটেছে। আওয়ামী লীগ বিএনপির বিরুদ্ধে যে ৪/৫টা বড় বড় বদনাম দেয়, তারমধ্যে এই গ্রেনেড হামলাও একটি। বিএনপি তখন ক্ষমতায় ছিল। ক্ষমতায় থাকা একটি দল এমন কখনই করে না, যা দেশে ভয়ানক একটা অস্থিতিশীলতা তৈরী করতে পারে।
২০০২ সালের ১ জানুয়ারী সাহাবুদ্দিন লাল্টু কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি হন। ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্রদল সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময়কালে এবং পরবর্তীতেও তিনি ছাত্রদলের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দেন।
এ বিষয়ে সাহাবুদ্দিন লাল্টু জানান, আমি তখন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম। আমি জানি এরকম একটি পরিস্থিতিতে ছাত্রলীগের তুমুল আন্দোলনের মুখে কতটা ধৈর্য্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শান্ত রেখে বেগম জিয়ার সরকারকে টিকে থাকতে ভূমিকা রেখেছিলাম। তাই এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। সঠিক বিচার চাই। সত্য ঘটনা জানতে চাই। জানতে চাই দেশের জনগণের একজন হিসেবে।