বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে ফুটবল খেলা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. শাকিল ইসলাম নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। মো. সোহাগ হাওলাদার ওরফে ফল সোহাগ নামের এক ব্যক্তি তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় সোহাগও আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কালাইয়া বাজারের মাদ্রাসা রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে কালাইয়া কলেজ মাঠে ফুটবল খেলায় রেফারির কল রংধনু ও জাহাঙ্গীন নগরের খেলোয়াড় ও রেফারির মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। রেফারির সিদ্ধান্ত রংধনু ক্লাবের বিপক্ষে গেলোও রংধুনর টিম ম্যানেজমেন্ট সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। এসময় দর্শক সারিতে থাকা মো. ফল সোহাগ নিজেকে রংধনু ক্লাবের শুভাকাঙ্খী দাবি করে রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে অস্বীকৃতি জানায়। খেলোয়াড়দের মাঠ ত্যাগ করতে নির্দেশ দেয়। তখন শাকিল তাকে (সোহাগ) বলেন, জামেলার দরকার নেই। খেলা চলুক। বিষয়টি ওখানেই শেষ হয়। ৩-২ গোলে রংধুন বিজয়ী হয়। এঘটনার পর দিন বুধবার সকাল থেকে ফল সোহাগ দারালো চাপাতি নিয়ে শাকিলকে কোপানোর জন্য কালাইয়া বাজারে ঘুরতে থাকে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাঁচা বাজারে দেখা হলে সোহাগ ও শাকিলের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। দুজনের মধ্যে কলি ঘুষিতে দুজনই আহত হয়। একপর্যায় সোহাগের সাথে থাকা চাপাতি দিয়ে শাকিলকে কুপিয়ে জখম করে। তার বাম হাতের কব্জিতে গুরুতর জখম হয়। শাকিল দৌঁড়ে পালালে সোহাগ শাকিলের মটরসাইকেল ভাঙচুর করে।
ঘটনার পর সোহাগ বাউফল হাসপাতালে ভর্তি হয়। শাকিল বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সোহাগের পক্ষের লোকেরা শাকিল ও তার বাবা মো. কাশেমকে হাসপাতালে মারধর করার চেষ্টা করে। শাকিল প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ত্যাগ করে।
আহত শাকিল জানান, খেলার মাঠে যা হয়েছে তা কোনো ঘটনাই না। খেলার পরও তার সাথে আমার দেখা হয়েছে। তখনও কিছু বলেনি। একদিন পর আজ আমাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। এখন আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যাচার করছে।
সোহাগ দাবি করেন রংধনু ক্লাব তার। ফুটবল খেলা থেকে তাকে সরে যেতে বলা হয়েছে। যার জন্য তাকে মারধর করা হয়েছে। এছাড়াও কালাইয়া তার দোকান লুটপাটের যে অভিযোগ করেছেন তারও কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
তবে রংধনু ক্লাবের সভাপতি মো. মহিবুল্লাহ সহ অন্যরা বলেন সোহাগ রংধনু ক্লাবের কেউ না। খেলার মাঠে দর্শক হিসেবে গিয়ে অহেতুক ঝামেলা করেছেন।
বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হক বলেন, খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।