চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৪৬ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম। তার এমন সাফল্যে খুশি তার স্ত্রী সন্তানসহ গ্রামবাসী।
দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে (মেম্বার) তালা প্রতীক নিয়ে ৪৭৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন রফিকুল ইসলাম। এর আগের সময়েও তিনি ৫ বছর ইউপি সদস্য ছিলেন। দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব পালনের শপথ অনুষ্ঠান চলাকালে এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। শপথ অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য শারীরিক প্রতিবন্ধী মো. রফিকুল ইসলাম খবর পান, তিনি এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪.৪৬ পেয়ে পাস করেছেন।
জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র থাকা অবস্থায় অসুস্থতার কারণে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়ে যান তিনি। পরে আর লেখাপড়া করতে পারেননি। ৫৭ বছর বয়সে সন্তানের সাথে পড়ার টেবিলে ফিরেছেন তিনি। করেছেন বাজিমাত। তার প্রবল ইচ্ছা ছিল অন্তত এসএসসি পাস করার। তাই ভোকেশনাল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ভর্তি হন তিনি।
রফিকুল ইসলামের এক ছেলে, আব্দুল্লাহ আল মারুফ। সে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার লজ্জা লেগেছে যে আমি একজন জনপ্রতিনিধি, কিন্তু নিজেই অশিক্ষিত। তাহলে মানুষকে কী সেবা দিব। একটা ছেলেকে কীভাবে বলবো লেখাপড়া করো মানুষ হও। তাছাড়ারা পড়াশোনা না জানলে দায়িত্ব পালনেও ব্যঘাত ঘটে। জনগণকে বেশি সেবা করা যায় না। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি স্কুলে ভর্তি হবো। অনেকেই অনেক কথা বলেছে আমি কানে তুলিনি। মনে মনে শুধু বলছি আমার থামলে চলবে না, পরীক্ষায় পাশ করতেই হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের প্রতি আহ্বান থাকবে লেখাপড়ায় যেন মনযোগী হয় সবাই, শিক্ষিত হয়ে অংশ নেয় দেশ গড়ার কাজে। আমি প্রতিবন্ধী, একটি পা অচল, আমার বয়স ৫৭ বছর।আমি যদি এই সময়ে পারি তাহলে একজন মানুষ কেন পড়াশোনা করবে না।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত