প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার ১৫ সাজাপ্রাপ্ত আসামী পলাতক রয়েছে। তিনি বলেন, “৪৯ জনের মধ্যে ৩৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ ১৫ জন পলাতক রয়েছে।” পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে. বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আজ জাতীয় সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের (মহিলা আসন-৩৫) এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর পর্বটি টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ সাজাপ্রাপ্ত ১৫ জন আসামী বর্তমানে পলাতক রয়েছে। বিদেশে পলাতক আসামী মাওলানা তাজউদ্দীন, হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারী করা আছে। পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ৫২ জনকে আসামী করে দুটো অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, রায় ঘোষণার আগে অভিযোগপত্রভুক্ত ৫২ জন আসামীর মধ্যে ৩ জন আসামীর অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হয়। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর রায় ঘোষণা করেন। বিচারে ৪৯ জন আসামীর সাজা হয়, যার মধ্যে ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড হয়। সাজাপ্রাপ্ত ৪৯ জন আসামীর মধ্যে ৩৪ জন আসামীকে আটক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হারিছ চৌধুরী বাংলাদেশে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় ২০২১ সালে মারা গেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। যা তার পরিবার স্বীকারও করেছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত