কোনো জাদু মন্ত্র বা তাবিজ কবজে নয়, মেয়েরা তাকে দেখলেই পছন্দ করে ফেলে। বিয়ে করতে চায়। তিনিও না করতে পারেন না। যার ফলে একে একে ২১টি বিয়ে করেছেন মরু মিয়া নামের এক ব্যক্তি।
মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে ২১টি বিয়ে করে এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছেন নওগার এই যুবক। ২৫ বছর বয়স থেকে শুরু করেন তার এই বিয়ের যাত্রা। প্রতিটি বিয়ের আগেই ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক, এরপর বিয়ে করে ঘরে তোলেন স্ত্রীদের। তার বিয়ের এই লম্বা সিরিয়ালে বাদ যায়নি অন্যধর্মের মেয়েরাও। সব স্ত্রীর নাম মনে না থাকায় কাগজে লিখে রাখতে হয়।
১০ বছর আগে মরু মিয়া প্রথম বিয়ে করেন বাবা-মায়ের পছন্দে। তার প্রথম স্ত্রী শহীদা বিবি এখনো রয়েছেন তার সংসারে। দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম নার্গিস। এরপর ঘরে আসে একেক করে আলেয়া, তারা, সেলিনা, নছিমুন, জোসনা, রাবেয়া, খালেদা ও সর্বশেষ পারুল। ২১তম স্ত্রী পারুল খ্রিষ্টান ধর্মের হলেও চার বছর আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সংসার করছেন তার সঙ্গে। তবে ডজনের ওপরে বিয়ে করলেও বর্তমানে মরুর সঙ্গে সংসার করছেন তিন স্ত্রী এবং ৩ ছেলেমেয়ে।
স্থানীয়রা বলছেন, মরু মিয়া ২ মাস ৩ মাস পর পর একটি করে বিয়ে করেন। এটা তার নেশা-পেশা হয়ে গেছে।
আলোচিত এই মরু মিয়া নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের চককালিকাপুর গ্রামের মৃত পিয়ার আলী দুখু মিয়ার ছেলে।
কেন এত বিয়ে পাগল তিন, এমন প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, বাবার প্রতি অভিমান আর বড় বউয়ের অবহেলা তাকে এ পথে নিয়ে গেছে।
তবে নওগাঁর জেলার আহলে হাদিস বাংলাদেশের সহসভাপতি মুহাম্মদ আফজাল হোসাইন জানান, ইসলাম ধর্মে একাধিক বিয়ের কথা বলা হলেও তার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে।
বর্তমানে মরু মিয়া অভাব অনটনের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। জীবিকা নির্বাহের জন্য সর্বশেষ স্ত্রীকে নিয়ে মান্দা ও রাজশাহীর বিভিন্ন হাট-বাজারে ভিক্ষা করতে দেখা যায় তাকে। তবে ৩৫ বছর বয়সী মরু মিয়ার ইচ্ছে যতদিন বেঁচে থাকবেন আর কোনো বিয়ে করবেন না তিনি।