হামাস আর কখনোই গাজা শাসন করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার দাবির পর বৃহস্পতিবার একথা বলেন তিনি।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা সিনহুয়া।
নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, “হলোকাস্টের পর থেকে যে ব্যক্তি আমাদের জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে, তাকে আজ হত্যা করা হয়েছে। হামাস আর গাজা শাসন করবে না।”
গাজায় যারা ইসরায়েলিদের বন্দি করে রেখেছে তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যে তার অস্ত্র রেখে নিজেকে সমর্পণ করবে এবং জিম্মিদের ফিরিয়ে দেবে, আমরা তাকে ছেড়ে দেব এবং বাঁচতে দেব আর যে তাদের ক্ষতি করবে, তার রক্ত তার নিজের মাথায় থাকবে।”
নেতানিয়াহু এই অঞ্চলের জনগণকে “অশুভের অক্ষ রুখে দিতে এবং সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধির ভবিষ্যৎ গড়ার” আহ্বান জানান।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ বলেছেন, “সিনওয়ারকে হত্যা করা শহীদ সৈন্যদের পরিবার এবং অপহরণকারীদের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা যে আমরা সবকিছু করছি এবং সেটি আমরা অব্যাহত রাখব।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা বৃহস্পতিবার যৌথভাবে নিশ্চিত করেছে যে, বুধবার ইসরায়েলি সেনাদের হাতে গাজা উপত্যকায় হামাস নেতা সিনওয়ার নিহত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার গাজার রাফায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হামাসের প্রধান নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হন। তবে দখলদার ইসরায়েলি সেনারা জানত না তারা সিনওয়ারকে হত্যা করেছে। পরে বৃহস্পতিবার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়ে ইসরায়েলি হামলায় হামাস প্রধানকে হত্যার দাবি করেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, গত বুধবার গাজার রাফার একটি ভবনে হামাসের কয়েকজন যোদ্ধাকে প্রবেশ করতে দেখে ইসরায়েলি সেনারা। এরপর সেখানে হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
হামলার পর সেনারা সেখানে যাওয়ার পর সিনওয়ারের মতো দেখতে এক যোদ্ধাসহ মোট তিনজনের লাশ পায় তারা। এরপর বৃহস্পতিবার নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই লাশটি সিনওয়ারেরই ছিল