সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ভারতীয় ফরেস্ট পুলিশের হাতে আটক হওয়া ছয় জেলেসহ এক জন হত্যা মামলার আসামিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়। এর মধ্যে রহমত উল্লাহ সাজিত নামে একজন হত্যা মামলার আসামি রয়েছেন বলে জানান বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি ইমতিয়াজ আহসান জানান, গত ৯ মাস আগে বাংলাদেশের সুন্দরবন এলাকায় ট্রলারে করে সাগরে মাছ ধরতে যায় ছয় জেলে। এক পর্যায়ে ভারত অংশে ঢুকে পড়লে কর্মকর্তাদের হাতে আটক হয় তারা। দমদমের আলীপুর জেলে পাঠানো হয়। এরপর তাদের ছয় মাসের সাজা দেওয়া হয়। পরে দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাদেরকে দেশে পাঠায় ভারতের পেট্রাপোলের ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিএসএফ।
ফেরত আসা বাংলাদেশি জেলেদের ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাদের বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির জিম্মায় দেওয়া হয়। সেখান থেকে জেলেদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান মহিলা আইনজীবী সমিতির যশোর প্রোগ্রাম অফিসার রেখা বিশ্বাস।
ফেরত আসা বাংলাদেশি নাগরিকেরা হলেন—নারায়ণগঞ্জের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে রহমতুল্লা, পটুয়াখালীর আব্দুল মালেকের ছেলে গোলাম রব্বি, মান্নান হাওলাদারের ছেলে জামাল হোসেন, আব্দুল জলিলের ছেলে মাসুম বিল্লাল, নাজির হুসাইনের ছেলে মো. হুসাইন, আব্দুর রহমানের ছেলে ইয়াসিন খান ও দিনাজপুরের সফিউদ্দিন কাজির মেয়ে রসিদা বেগম।