বিয়ে করে একসঙ্গে সংসার শুরু করলেই দায়িত্ব শেষ নয়, সেখান থেকেই বরং শুরু হয় দায়িত্বের। একজন স্বামী বা স্ত্রী হিসেবে, বাবা কিংবা মা হিসেবে, আত্মীয়তার আরও অনেক বন্ধনে থেকে দায়িত্ব পালন করে যেতে হয় বাকি জীবন। বিয়ের আগে যদি পরিচয় থাকেও, বিয়ের পরের মানুষটির সঙ্গে কিন্তু সেই আগের মানুষটির খুব বেশি মিল পাবেন না। কারণ আগে আপনি তাকে মাঝে মাঝে দেখতে পেতেন, এদিকে বিয়ের পর সারা জীবনের জন্য একসঙ্গে থাকছেন।
একসঙ্গে থাকতে গিয়ে আমরা এমনভাবে অভ্যস্ত হয়ে যাই যে, আলাদা করে সঙ্গীর প্রশংসা করার কথা মনেই থাকে না। সবার প্রতি দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি দুজন দুজনকে খুশি রাখার দায়িত্বও কিন্তু পালন করতে হবে। কীভাবে কথা বললে সঙ্গীর মন জয় করা যাবে তা অনেকেই বুঝতে পারেন না। স্বামীর মন জয় করা কিন্তু খুব কঠিন কিছু নয়। বরং কয়েকটি প্রশংসা বাক্যই তাকে খুশি রাখতে পারে। জেনে নিন-
নিরাপদ বোধ করা:
পুরুষ সব সময় তার সঙ্গীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চান। প্রত্যেক স্বামীই চান তার স্ত্রী যেন তার কাছে নিজেকে নিরাপদ মনে করেন। তাই স্বামীর মন জয় করার জন্য আপনি তাকে এতটুকু নিশ্চিত করুন যে, আপনি তার কাছে নিরাপদ বোধ করেন। এটুকুতেই তিনি ভীষণ খুশি হয়ে যাবেন। আপনার প্রতি তার আস্থা চলে আসবে। সম্পর্কও থাকবে ভালো।
নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করা:
প্রশংসা শুনতে প্রত্যেকেই পছন্দ করেন। আর তা যদি হয় সঙ্গীর মুখ থেকে, তাহলে তো কথাই নেই! প্রত্যেক স্বামীই তার স্ত্রীর মুখ থেকে প্রশংসা শোনার জন্য মুখিয়ে থাকেন। তাই তাকে এমন কিছু বলুন যেন তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। তাকে বলুন যে তাকে পেয়ে আপনি নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছেন। এতে তিনি আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবেন।
তার ব্যবহারে খুশি থাকা:
আপনি তাকে কেমন ভাবেন, তা জানার আগ্রহ তার থাকবেই। তার সঙ্গে সারা জীবনের জন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়েছেন, দিনযাপনের গল্পগুলো তাকে ঘিরে জমা হচ্ছে, তাই তার ব্যবহারে যে আপনি খুশি আছেন সেকথা জানিয়ে দিন। এতে তিনি আপনার প্রতি আরও ইতিবাচক থাকবেন। আরও বেশি সুন্দর ব্যবহার করবেন।
তার পরিশ্রমের প্রশংসা:
সংসারে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই অবদান থাকে। তাদের কঠোর পরিশ্রম সংসারকে আরও সমৃদ্ধ করে। আপনার স্বামীর কাজের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন। তার কাজের প্রশংসা করুন। তাকে কর্মঠ এবং পরিশ্রমী বলুন। তার কাজ দেখে যে অন্যরা উৎসাহী হবে, সেকথাও বলুন। আপনার সমস্ত প্রশংসা-বাক্য তাকে খুশি রাখবে। সহজেই তার মন জয় করতে পারবেন।
ভালো ছেলে এবং ভালো স্বামী:
তিনি যে ছেলে হিসেবে দায়িত্বশীল, তার বাবা-মাকে তিনি অনেক ভালোবাসেন, তাদের খেয়াল রাখেন সেকথা তাকে বলুন। সেইসঙ্গে একথাও তাকে বলুন যে তিনি স্বামী হিসেবেও দারুণ। এসব প্রশংসা-বাক্য তার জন্য মন্ত্রের মতো কাজ করবে। দেখবেন, তিনি আরও বেশি দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত