স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন

23

লক্ষ্মীপুরে স্বামী মিলন হোসেনকে (৬০) শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্ত্রী জাহানারা বেগমকে (৫১) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

আজ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

লক্ষ্মীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রায়ের সময় আসামি জাহানারা আদালতে উপস্থিত ছিল। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভিকটিম মিলন ও দন্ডপ্রাপ্ত আসামি জাহানারা সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ খাগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানাগেছে, ২০২২ সালের ২৪ এপ্রিল ভোরে বাড়ির পাশের একটি বাগানে সুপারী গাছের সাথে হাত-বাঁধা ও গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মিলনের মরদেহ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছৈ মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পরদিন মিলনের ছেলে সাফায়েত হোসেন মাহবুব বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত মিলনের স্ত্রী জাহানারাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। এতে তিনি স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এ ঘটনায় তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলা সূত্রে আরো জানাগেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে তার স্ত্রী জাহানারা ক্ষিপ্ত হয়ে মিলনকে ঘরের পেছনের বাগানে নিয়ে সুপারি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে হাত বাঁধেন। পরে অন্য একটি রশি গলায় পেঁচিয়ে তিনি মিলনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরদিন সকালে তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদেরকে স্বামীর মৃত্যুর বিষয়টি জানান। ঘটনাটি অন্যদিকে প্রভাবিত করতে দূর্বৃত্তরা মিলনকে হত্যা করেছে বলে তিনি প্রচার করেন।

২০২২ সালের ১৫ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল আসামি জাহানারা বেগম’র বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দিয়েছে।