সোসাল মিডিয়ায় সাংবাদিকের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মানসন্মান হানিকর স্ট্যাটাস এবং সাংবাদিককে মুঠোফোনে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগে বাউফল রিপোর্টার’স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালবেলা’র উপজেলা প্রতিনিধি জিএম মশিউর রহমান ওরফে মিলন বাউফল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ভুক্তভোগী সাংবাদিকের অভিযোগ সূত্র জানা গেছে, ওই নারী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তিনি তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্টে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ ছাড়া অপপ্রচার চালায়। সাংবাদিক মিলন ডাক্তার সাবরিনার ছবি শেয়ার করে লিখেছিলেন এবং ক্যাপশনে মজা করে লিখেন ‘আমার ক্রাশ এতো লজ্জায় বলিনি’
সাংবাদিক মিলনের এই ফেইজবুক পোস্টের স্ক্রিনশট ও মিলনের ছবি অভিযুক্ত ওই নারীর নামে ব্যবহৃত ফেইসবুক একাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। পোস্টের ক্যামশনে ভুক্তভোগী সাংবাদিকের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য লেখেন ওই নারী। পোস্টে মিলনের ব্যক্তিগত বৈবাহিক জীবন নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়৷ ফেইসবুকের সেই পোস্ট ছড়িয়ে যায় সবার কাছে।
সাংবাদিক মিলন জানান, এরআগে কালবেলা ডেস্ক থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদের জন্য ওই তাকে ফোন দিয়ে হুমকি দেন। অথচ সেই সংবাদ তিনি করেনই নাই। সেই সংবাদের জন্য তিনিসহ চার সাংবাদিকের নামে মামলাও করা হয়। এরপরে এখন সোসাল মিডিয়ায় বিনা কারণে তার সম্মানহানি করা হচ্ছে। এসব থেকে প্রতিকার চেয়ে আইনের কাছে আবেদন করছেন বলে জানান তিনি।
ফেইসবুকের কর্মকান্ডের বিষয়টি জটিল। উর্ধ্বতন অফিসারদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত ওই নারীর সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। সাংবাদিককে হেনস্থা করে পোস্ট করা ওই নারীর ফেইসবুক প্রোফাইল গতকালও পাবলিক ছিলো কিন্তু আজ প্রোফাইলটি লক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত নারীর স্বামী জনৈক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওই নারীর ঔরসজাত পিতা-মাতা’ও সাক্ষী ছিলেন। মামলার সূত্রে কালবেলা ডেস্ক, সময় টিভি, ভোরের আকাশ জনকণ্ঠসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রচার হয়। সেই সংবাদের কারণেই অভিযুক্ত নারী কালবেলা প্রতিনিধি জিএম মশিউর রহমান মিলনের ওপরে ক্ষিপ্ত ছিলেন।