সেরা করদাতা হিসেবে ২০২২-২০২৩ কর বর্ষে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় কর কার্ড ও সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। যার মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৬ জন এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ৫৪ ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রে ১১টি কর কার্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ২০ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারী হিসেবে জাতীয় টেক্সট কার্ড ও সম্মাননা পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
একই সাথে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনসহ ঢাকা বিভাগের আটটি জেলার মোট ৬৩ জন কর দাতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেনা মো. রহমতুল্লাহ মুনিম বলেন, কর বিভাগ সম্প্রসারণের জন্য ইতোমধ্যে ২৮টি জোন তৈরীর প্রস্তাব পাস হয়েছে। শীঘ্রই ২৮টি নতুন জোন তৈরি হবে। আমরা কর প্রদান সহজ করার জন্য ক্রমান্বয়ে অটোমেশন থেকে শুরু করে সব ধরনের নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছি।
তিনি বলেন, নতুন আয়কর আইন ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে, যেখানে কর প্রদান নীতিমালা নতুনত্ব ও সহজিকিরণ করা হয়েছে।
এনবিআর সভাপতি বলেন, কর প্রদান সম্পর্কে ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে যখনই কোন প্রশ্ন কিংবা সমস্যা দেখা দেবে তখনই রাজস্ব কর্মকর্তাদের শরণাপন্ন হবেন। তিনি বলেন, প্রতিটি কর অফিসে গণশুনানির জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন উন্মুক্ত থাকে। সেখানে কর প্রধান সম্পর্কিত ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের সমস্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পরামর্শ নেয়ার অনুরোধ রইলো।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ সচিব খায়রুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা ২০১৫ সালে নিম্ন আয়ের দেশ ছিলাম। ইতোমধ্যে আমাদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। আমাদের অর্থনৈতিক বিস্ময়কর অগ্রগতি ধরে রাখার জন্য আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি বলেন, বর্তমানে বহির্বিশ্বের অর্থনৈতিক যে দুরব্যবস্থা তা যেন আমাদের দেশকে প্রভাবিত না করে সেজন্য কাজ করে যাচ্ছি।
অর্থ সচিব আরও বলেন, রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হবে আয়কর। উন্নত বিশ্বে রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে বড় উৎস আয়কর। আমরা বিগত দিনে যা দেখছি আয়কর আমাদের রাজস্ব আহরণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠছে। অর্থ সচিব আয়কর দাতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যারা সঠিক আয়কর দিয়ে পুরস্কৃত হলেন তারা অন্যান্য আয়কর প্রদানকারীদের উদ্বুদ্ধ করবে।