সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পতনের সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর দেশটির রাজধানী দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে সেখানে কর্মরত ইরানি কূটনীতিকরা হামলার আগেই দূতাবাস ছেড়ে চলে গেছেন। ইরানের গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ সংবাদ জানিয়েছে এএফপি।
রোববার সকালে সিরিয়ার সরকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের রাজধানী দামেস্কে প্রবেশের খবর পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে আসাদের পালিয়ে যাওয়ার খবরও ছড়িয়ে পড়ে।
দুপুরে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, দামেস্কে ইরানি দূতাবাস হামলার শিকার হয়েছে। টিভিতে দূতাবাসের কূটনৈতিক কম্পাউন্ডের ভেতর থেকে হামলার ফুটেজও দেখানো হয়।
ইরানি গণমাধ্যম ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, হামলার আগেই রোববার সকালে কর্মস্থল ত্যাগ করেছেন দূতাবাসের কর্মীরা।
হায়াত তাহরির আল-শাম ও তুরস্কের সমর্থনপুষ্ঠ বিদ্রোহীরা আসাদের সরকারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ২৭ নভেম্বর উত্তরের আলেপ্পো শহরে বড় আকারে আগ্রাসন শুরু করে।
অল্প সময়ের মধ্যেই ৩ গুরুত্বপূর্ণ শহর আলেপ্পো, হামা ও হোমস শহরের পতন ঘটে। বিশেষত, হোমসের পতনে দিশেহারা হয়ে পড়েন আসাদ।
বিদ্রোহীদের আগ্রাসনে এই শহরগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হয় সরকার। এরপর বিদ্রোহীরা রাজধানী দামেস্ক দখল করে নেয়। দামস্কের দিকে এইচটিএসের সেনাদের এগিয়ে আসার খবরে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে চেপে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট বাশার। বিমান দুর্ঘটনায় বাশারের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে।