সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতাকে হত্যায় আওয়ামী লীগ জড়িত: রিজভী

যুবদল নেতাদের হত্যা করলে সরকারবিরোধী আন্দোলন দমানো যাবে, সেজন্য আওয়ামী লীগ সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা আকবর আলীকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতা আকবর আলীকে গুলি করে হত্যার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ জড়িত। আওয়ামী সন্ত্রাসী সেলিম ও মাসুদ নিজেদের অস্ত্র দিয়ে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে যুবদল নেতা আকবর আলীকে। এ হত্যাকারীরা এলাকায় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে তিনি এসব দাবি করেন।

রিজভী বলেন, আকবর আলী সয়েদাবাদ ইউনিয়ন যুবদলের প্রস্তাবিত কমিটির আহ্বায়ক। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী দলীয় ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। সারাদেশেই জনপদের পর জনপদে আওয়ামী সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অস্ত্রসজ্জিত করা হয়েছে বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতকে নিশ্চিহ্ন করতে। আর সেজন্যই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গ্রাম থেকে শহরে খুনের নেশায় ছুটে বেড়াচ্ছে।

রিজভী আরও দাবি করেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে এখন পর্যন্ত প্রায় দেড় হাজার বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণিপেশার মানুষ গুমের শিকার হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী আওয়ামী শাসনামলে হত্যার শিকার হয়েছেন।

বিএনপি নেতারা রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করছে তথ্যমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তথ্যমন্ত্রী যেন আওয়ামী লীগের ইভিএমের ন্যায় ভূমিকা পালন করছেন। যে প্রতীকেই বোতাম চাপ দেওয়া হোক না কেন তা যেমন নৌকায় চলে যায়। ঠিক তেমনি সারাদেশে নিজেদের পাহাড়সম অপকর্মের দিকে না তাকিয়ে অনর্গল মিথ্যার বেস্যাতি করে যাচ্ছেন তথ্যমন্ত্রী। দেশব্যাপী নিজেদের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা করছেন, এটা কোনো উন্নয়নের কাজ? এটা কি আইন সম্মত কাজ? বরং জনগণ এই রক্তাক্ত ঘটনাকে আওয়ামী আইনের শাসনের কাজ বলেই বিবেচনা করে।

রিজভী জানান, যুবদল নেতা আকবর আলীর হত্যার প্রতিবাদে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে যুবদল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।