সিইসির কাছে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাইনি: প্রার্থীর অভিযোগ

রাকিব হাসান সাগর
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নজরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শাহজালাল মিয়া।

এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেও কোন ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ পাননি বলে দোয়াত কলমের প্রার্থী দাবি করেছেন।

এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, আমার নির্বাচনী এলাকায় মোট ১৩৯টি কেন্দ্র রয়েছে এর মধ্যে কালাপাহাড়িয়া একটি দুর্গম এলাকা ছাড়া ফতেপুর, ব্রাহ্মন্দী মামুদপুর ইউনিয়ন ও গোপালদী পৌরসভা। আরো কিছু এলাকার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পেশি শক্তি প্রদর্শন জাল ভোট ও নাশকতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন এবং আমার নির্বাচনী মার্কা দোয়াত কলম প্রতীকের কোন পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া যাবে না বলে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নজরুল ইসলাম বাবু তার অনুসারীদেরকে ঘোষণা দিয়েছেন। এর ফলে এলাকায় সাধারণ ভোটারদের মাঝে এক আতঙ্ক অস্থিরতা বিরাজমান যার কারণে সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে যারা আমার কর্মী তারা ভোটের দিন পোলিং এজেন্ট হতে ভয় পাচ্ছে। নিজেদের জানমালের কথা ভাবছে। ইতিপূর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জেলা রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেও কোন ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

দোয়াত কলমের প্রার্থী বলেন, হুইপ মহোদয় রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমাকে নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেযন এবং তার পছন্দের প্রার্থী ঘোড়া মার্কা প্রতীকের পক্ষে ভোট চান, যা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।ইতিপূর্বে তিনি ও তার স্ত্রীর সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উনারা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, এতে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ পোলিং অফিসার ও প্রিজাইডিং অফিসার হলে আমি আপত্তিতে তারা নির্বাচনী কার্যক্রম বহাল রয়েছেন

সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চিফ হুইপকে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী থেকে নির্বাচনী প্রচারণা দোয়াত কলমের কর্মীদেরকে ভয়-ভীতি দেখানো থেকে বিলম্বে বিরত থাকতে ব্যবস্থা করা হোক। সকল বিতর্কিত প্রিজাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের অন্যত্র প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কালাপাহাড়িয়া ফতেহ পুর ব্রাহ্মন্দী গোপালদী মাহমুদপুর ইউনিয়নের সকল কেন্দ্রে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সার্বক্ষণিকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য সবিনয়ভাবে আবেদন করছি। আপনাদের মাধ্যমে আরো জানাচ্ছি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ওকে অবিলম্বে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আপনারা আপনাদের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক আমার পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনারের প্রতি আপনারা জোরালোভাবে আবেদন জানাবেন যেন আগামী (২১শে মে) সুন্দর সুষ্ঠু অবাধ ও উৎসব মুখ নির্বাচন হয়। আড়াই হাজার উপজেলার সর্বস্তরের তিন লক্ষ ৪০ হাজার ভোটার রা ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে সঠিকভাবে তাদের জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে পারেন। সেই জন্য আমার সাংবাদিক বন্ধু মিডিয়ার মাধ্যমে সেই সহযোগিতা কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান হ্যালো সরকার, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোঃ মমতাজ, ও কৃষিবিদ ডক্টর হাবিবুর রহমান মোল্লা।