সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

স্বরাষ্ট্র ও তথ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সাত কলেজের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য মামুন আহমেদের পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক করেন তারা। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বক্সও ছাড়াও বৈঠকে সাত কলেজের পক্ষে তিন সদস্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রদের ৬ দফা দাবি

১. ঢাকা কলেজসহ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এবং প্রো-ভিসি মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে।

২. ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর নিউমার্কেট থানা পুলিশের ন্যাক্কারজনক হামলার ঘটনায় এসি, ওসিসহ জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৩. ঢাবি শিক্ষার্থী কর্তৃক ইডেন কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজসহ সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অশালীন অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সম্পর্কের চূড়ান্ত অবসান ঘটিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

৫. উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টা, শিক্ষার্থী উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ইউজিসি সদস্য এবং ঢাবি ভিসির সমন্বয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি টিমের সঙ্গে তাৎক্ষণিক উচ্চপর্যায়ের মিটিংয়ের মাধ্যমে এই ঘটনার সমাধান করতে হবে।

৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট এরিয়ায় সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

এ বিষয়ে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে মইনুল ইসলাম বলেন, গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ এবং সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন হয়। সেখানে আমরা ৬ দফা দাবি উত্থাপন করি। আমাদের প্রথম দাবি গতকাল (সোমবার) মেনে নেওয়ায় আমরা সন্তোষ প্রকাশ করেছি। বাকি পাঁচ দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে আমাদের ডাকা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আমরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করেছি। সেটা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় মেনে নেওয়া হবে বলে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।