সাড়ে ৩শ তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফলে এক তরমুজ চাষীর প্রায় সাড়ে তিনশ তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। উপড়ে ফেলা কেনো গাছে ফুল ফুটেছে। আবার কোনো গাছে ফলও ধরেছে। সোমবার রাতে উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর চরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে চাষী মো. রবিউল ইসলাম রুবেল অজ্ঞতদের আসামি করে বাউফল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।

চাষী রবিউল ইসলাম রুবেল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক। আসন্ন ইউপি উপনির্বাচনে স্থানীয় বিরোধের জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মমিনপুরের চরে চলতি তরমুজ মৌসুমে ৩ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেন রুবেল। খেতের প্রায় সাড়ে ৩শ গাছ রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা উপড়ে ফেলেছে। উপড়ে ফেলা গাছের কিছু খেতের পাশে রেখে গেছেন। কিছু নিয়ে গেছেন দুর্বৃত্তরা। এসব গাছে ফুল ফুল ফুটেছে। আবার কোনো গাছে ফলও ধরেছে। এতে চাষীর প্রায় ৬লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত চাষী রবিউল ইসলাম রুবেল বলেন, কেশবপুর ইউনিয়নের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ তুহিনের সমর্থক। যার কারণে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হক অপু আমাকে এবং আমার পরিবারকে একাধিক বার হুমকি দিয়ে আসছিল। তুহিনের সমর্থক হওয়ার অপরাধে অপুর নির্দেশে তার লোকজন আমার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেছেন।

জড়িতদের বিচার দাবি করে তিনি আরও বলেন, আমি ধার দেনা করে তরমুজ চাষ করেছি। ফলন্ত গাছ গুলো উপড়ে ফেলা হয়েছে। এতে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে চেয়ারম্যান প্রার্থী এনামুল হক অপু বলেন,‘ এসব অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

[বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’