সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র্যাব) সরিয়ে দিতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করা হয়।
একই সঙ্গে এ ঘটনার তদন্তে করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন তিন সদস্যের একটি টাস্কফোর্সকে বলা হয়েছে।
প্রথমে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক উপপরিদর্শক (এসআই)। এরপর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি)। তারা রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার তদন্তভার র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ১১১ বার পিছিয়ে আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক এ নতুন দিন ধার্য করেন।
এদিকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মোহাম্মদ শিশির মনিরকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মামলার বাদী ও রুনির ভাই নওশের আলী রোমান এ তথ্য জানান। পরে মামলা নিয়ে শিশির মনির এবং নওশের আলী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
শিশির মনির বলেন, সাগর-রুনি মামলার অভিযোগকারী আমাকে নিযুক্ত করেছেন। আমরা নিম্ন আদালতে দরখাস্ত দায়ের করব। যারা তদন্ত করছে, তাদের সঙ্গে বসব। এখন র্যাব তদন্ত করছে। আমাদের জানা মতে সবচেয়ে দক্ষ তদন্ত সংস্থা পিবিআই। আমরা চাই তারা তদন্ত করুক।
নওশের রোমান বলেন, এত বছর আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। বিচার চাওয়াও লজ্জাজনক মনে হচ্ছিল। আগের সরকার মামলাটা ধামাচাপা দিয়েছিল। ওই সরকার যেহেতু নেই, মনে করছি কিছু হতে পারে। যতক্ষণ পর্যন্ত কিছু না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আশা করার কিছু নেই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এতদিন যোগাযোগ করত না। ৫ আগস্টের পর তদন্ত কর্মকর্তা বেশ কয়েকদিন বাসায় গেছেন। তবে অগ্রগতি হওয়ার মতো কিছু জানাননি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনিকে হত্যা করা হয়। এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ, সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের ‘বন্ধু’ তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আটক রয়েছে।