ভোলা প্রতিনিধি: ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় জমিজমা বিরোধের জেরে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। ওই সাংবাদিকের নাম মো. মোর্শেদ আলম। তিনি শেয়ার নিউজ২৪ -এর স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে ঢাকায় কর্মরত আছেন।
জানা গেছে, ওই উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খাসেরহাট এলাকায় জমিজমা নিয়ে মোর্শেদের বাবা মো. নুরুল আমিন ও স্থানীয় মো. হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হুমায়ুন বাদী হয়ে নুরুল আমিন, মো. সোহান, মো. মোর্শেদ আ: সালাম, মো. জামালকে আসামি করে আদালতে মারামারির একটি মামলা দায়ের করে।
ওই মামলায় বলা হয়, শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র করে হুমায়ুন কবির, মোতাহার উদ্দিন, মনসুরা বেগমকে মামলায় উল্লিখিত আসামিরা মারধর করেছে। ওই মামলায় মো. মোর্শেদ আলমকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মোর্শেদ আলম বলেন, হুমায়ুন কবিরের পরিবারের সঙ্গে আমাদের পরিবারের জমিজমা বিরোধ নিয়ে বাড়িতে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। প্রথমে তারা হামলা করলেও পরে ভোলা আদালতে মামলা করে। সেখানে আমাকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। অথচ মামলায় যে দিন-তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সেদিন আমি ঢাকায় ছিলাম। আমাকে বাড়ি থেকে ফোন করে মামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে। আমি ঢাকায় থেকে কীভাবে তাকে মারধর করেছি সেটি আমার প্রশ্ন। আমার বিরুদ্ধে হয়রানি ও উদ্দেশ্যমূলক এই মিথ্যা মামলা করায় আমি হতবাক হয়েছি। বিষয়টি আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে মামলা বাদী হুমায়ুন কবিরের সঙ্গে একাধিকবার তার ব্যবহার করা ০১৩০৭×××××৫ নম্বরে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মঞ্জু হাওলাদার বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি ঘটনাটি আমি শুনতে পেয়েছি। পরে জানতে পেরেছি হুমায়ুন কবির আদালতে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। ওই মামলায় সাংবাদিক মোর্শেদকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু মোর্শেদ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় রয়েছে। ঘটনার দিন সে এলাকায় ছিল না।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল হক বলেন, এই ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত মামলার তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন করা হবে।