বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা পাচার করা টাকাকে বৈধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এগুলো তো তারা করছেই। নিজেরাই বিদেশে টাকা পাচার করছেন। সেই টাকা বৈধ করার জন্য আইন করছেন। এই দেশ তো এখন আর কোন সভ্য, গণতান্ত্রিক দেশ নেই। এটা একটা বর্বর, অসভ্য রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। যেটা সম্পুর্নভাবে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে। তিনি গতকাল বুধবার পৌর শহরের কালিবাড়িস্থ নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রীর কথা তো আর আইন না। আইনে স্পস্টভাবে বলা আছে যে, নির্বাচনের দিনে ওই এলাকায় কোন সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন না। এখানে মন্ত্রি সাহেব কি করেছেন সেগুলোর সঙ্গে আইন, সংবিধান, নীতি-নৈতিকতা তার কোন সংযোগ নাই। তারা সমস্ত নির্বাচনে বরাবরই যে কাজটা করে আসছে। প্রভাব বিস্তার, নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রনে নেওয়া। সরকারের কারনেই আজকে সরকারি দলের এমপি কুমিল্লায় অবস্থান করছেন। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার পরও তিনি সেখান থেকে বের হননি। এটাতে গোটা ইলেকশন কমিশন তারা তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন। সুতরাং এ ঘটনা থেকে প্রমানিত হয়ে গেছে; কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন শুধু নয় সারা বাংলাদেশের যে নির্বাচন ব্যবস্থা সেটাকে তারা সম্পুর্নভাবে এই সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন যে প্রতিষ্ঠান একটা সেটাকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে। আমাদের দাবি যে কথাটা আমরা বারবার বলছি; আমরা শুধু না সমস্ত বিরোধী দলেই বলছে যে, নির্বাচনকালীন সময়ে যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনার যেই থাকুক তাকে নিয়ে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, এটা শুধু আমাদের কথা নয়। সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য মানুষদের নিয়ে তারা কয়েকদিন আগে একটি বৈঠক করেছেন। সেখানে সবাই বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে বাংলাদেশের যে নির্বাচনী সংস্কৃতি সেখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সুতরাং এখানে নির্বাচনকালীন সময়ে একটি নিরপেক্ষ সরকার খুব বেশি প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের অধিনে কোন নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। সেটার ফলাফল যাই হোক আমরা যাব না। যে বিশ্বাস শুধু আমাদের না সারা বাংলাদেশের মানুষের সেই বিশ্বাস নাই। নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে তারা এমন জায়গায় নিয়ে গেছে এখানে তো মানুষ ভোটই দিতে পারে না। ভোটকেন্দ্রে যেতেও পারে না। ভোটকেন্দ্রে যদি যেতে না পারে তাহলে আর কি করবে। ভোট দিতে পারলেও তা তাদের পক্ষে নিয়ে যায়। আমরা আপত্তি জানাচ্ছি, প্রতিবাদ করছি। আন্দোলন করছি। আমরা আরও যখন সময় আসবে বড় আন্দোলনে যাব। আমরা সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করছি। সবাই আমাদের সঙ্গে একমত যে, এই সরকারের অধিনে কখনও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জাফরুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠের নেতৃবৃন্দ।