জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনার মধ্যে এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি জানিয়েছেন, দেশে কোনো নতুন রাজনৈতিক দল হলে বিএনপি তাকে স্বাগত জানাবে। তবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কিংবা প্রশাসনের সহযোগিতায় কোনো রাজনৈতিক দল গঠিত হলে জনগণ তাতে হতাশ হবে বলে মনে করেন তিনি।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ প্রাঙ্গণে শিক্ষক কর্মচারীদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই ছাত্রদের নেতৃত্বে রাজনৈতিক দল গঠনের আলোচনা চলছে। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ ছাত্রদের রাজনৈতিক দলের ঘোষণা আসতে পারে বলে জানানো হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সরকারে থেকে ছাত্ররা দল গঠন করলে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। ফখরুলের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দুই ছাত্র উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এর মধ্যেই নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে কথা বললেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় কেউ যদি রাজনৈতিক দল গঠন করতে চায় অবশ্যই বিএনপি তাকে স্বাগত জানায়। তবে রাজনৈতিক দল গঠন করতে গিয়ে কেউ যদি রাষ্ট্রীয় কিংবা প্রশাসনিক সহায়তা নেয় তা হবে হতাশাজনক। অন্য রাজনৈতিক দলের প্রতি তাদের আচরণ ঝগড়াসূলভ বা প্রতিহিংসামূলক হয় সেটিও জনগণের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত হবে। তরুণরা আগামীর ভবিষ্যৎ। তারাই সামনে নেতৃত্ব দেবে। তবে তা যেন কোনো প্রশ্নবিদ্ধ পথে না হয়।
বিএনপি সংস্কারের পক্ষে জানিয়ে তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচার মুক্তিযুদ্ধসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে। নির্বাচন কমিশন এবং দুদকের মতো প্রতিষ্ঠানকেও অকার্যকর করে দিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানসহ বেশ কয়েকটি সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে। এমন অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের সঙ্গে দুই একটি প্রক্রিয়াগত বিষয় ছাড়া বিএনপির কোনো ভিন্নমত নেই। সংস্কার ও নির্বাচন দুটোর পক্ষেই বিএনপি।