সম্মান নিতে চাইলে মেয়র ও কাউন্সিলরদের নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে

12

আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলছেন, সম্মান নিতে চাইলে মেয়র ও কাউন্সিলরদের নিজেকে বিলিয়ে দিতে হবে। আমরা চাই পৌরসভার উন্নয়ন। সবার মান যাতে করে আরও ভাল হয় সেটি মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

তিনি গতকাল রোববার সন্ধ্যায় পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে “এলাকা অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ” কমিটির সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ ২৯ মার্চ প্রধান মন্ত্রী বড় মাঠে যে সকল প্রতিশ্রুতি দিয়ছিলেন, ইতিমধ্যে অনেক গুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। করোনার কারনে ২ বছর পিছিয়ে গেলাম। হয়তো করোনা না হলে এতদিন লাগতো না। পৌরসভা বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। প্রধান সড়কগুলি হয়েছে। সেগুলি বাদে সংযোগ সড়কগুলোর অবস্থা খুব খারাপ। একমাত্র হাজীপাড়া ব্যাতিত অন্যান্য ওয়ার্ডগুলোতে রাস্তাগুলো ভাল নেই।

সালন্দর থেকে সোজা আর্টগ্যালারী পর্যন্ত রাস্তা করার পরিকল্পনা থাকলেও করা হয়নি। তবে পৌরসভার মানুষজন বাড়ি করলে রাস্তার জমি ছেড়ে যেন বাড়ি করে সেদিক খেয়াল রাখতে হবে। পৌরসভার বরাদ্দ হচ্ছে, ১০টি রাস্তার বরাদ্দ হলে সে রাস্তাগুলো হয়ে যাবে।
কাউন্সিলরদের উদ্দশ্যে তিনি আরও বলেন, কোন বরাদ্দ পেলে নিজের কাজ না করে জনসাধারণের কল্যানে কাজ করবেন, তাহলে মানুষ ভালবাসবে। হয়তো সামনের দিনে কাউন্সিলরদের বিভিন্ন ভাতা চালু হতে পারে। তখন হয়তো প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে যাবে।

বর্তমানে আমরা উন্নয়নশীল দেশ। মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বর্তমান টাকার চাহিদা থাকলেও ভবিষ্যতে কাউন্সিলরদের চাহিদা কমে আসবে। কারণ তারা ভাতা পাবেন। বর্তমানে সব কাজ দৃশ্যমান। উন্নয়ন কাজগুলো চলমান আছে। তবে কোভিড ১৯ এর কারনে কিছুটা ব্যাহত হয়ছে । আগামী বাজেটে ৭ লক্ষ হাজার কোটি টাকার বাজেট হতে পারে। পৌরসভার জন্য বরাদ্দ পেলে বাকি কাজগুলো করা হবে। পৌরসভা থেকে বিভিন্ন প্রকল্প থেকে যে প্রকল্প দেওয়া হয়, সেগুলোর তালিকা করতে হবে। হঠাৎ করে বরাদ্দ হলে রাস্তা খুজ পাওয়া যায় না। যে যতো টাকা আনতে পারে ততো উন্নয়ন হবে। আ’লীগের সময় পৌরসভার যে উন্নয়ন হয়েছে এ জাতীয় উন্নয়ন অন্যান্য পৌরসভায় দেখা যায় নি। যে বরাদ্দগুলা আসছে সেগুলা সুষ্ঠুভাব বটন করতে হবে।

ঠাকুরগাঁও পৌরসভার আয়োজনে সভায় পরে মেয়র আঞ্জুমান আরা বেগম বন্যার সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি অতিথি আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, বিশেষ অতিথি পৌরসভার প্যানেল মেয়র আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, সুদাম সরকার, পৌরসভার প্রোকৌশলী মোঃ বেলাল হোসেন, সচিব মজিবর রহমান, জেলা আ’লীগের ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম স্বপন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, কাউন্সিলর দ্রোপদী দেবী আগারোওয়াল, আতাউর রহমান প্রমুখ।

সভায় পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীগন উপস্থিত ছিলেন।