রীতি অনুযায়ী, বিবাহিত মহিলারাই দেবীবরণ করেন। তবে বহু বছর ধরেই এই নিয়মে ছেদ পড়েছে। বর্তমানে অবিবাহিতরাও ছক ভেঙে উমার বিদায়বেলায় বরণ করেন। এই প্রথমবার সেই পথে হাঁটলেন স্বস্তিকা দত্ত। অবিবাহিত হয়েও কেন উমাবরণ করে সিঁদুর খেললেন? সেই কারণ ফাঁস করলেন অভিনেত্রী।
স্বস্তিকা বলেন, ‘এ বছর মায়ের থেকে একটু বেশি শক্তি দরকার। একটু বেশি আশীর্বাদ ও ভালোবাসা দরকার। যত বড় হচ্ছি, নিজের ও সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধও বাড়ছে। সেজন্যই মায়ের হাতটা মাথার উপর দরকার। হঠাৎই ঠিক করলাম মাকে বরণ করব। কোনও পরিকল্পনা ছিল না। পরিকল্পনা করে আমি যা-ই করি, সেগুলো ভেস্তে যায়। তবে এই বরণের অনুভূতি অসাধারণ। গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল।’
নিয়ম অনুযায়ী, দেবীকে বরণ করেন বিবাহিত মহিলারা। তবে গত কয়েক বছরে সেই ছক ভেঙেছেন বহু মহিলাই। স্বস্তিকাও সেই পথেই হাঁটলেন। অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রথমে একটু অদ্ভুত লাগছিল, সব বিবাহিত মহিলাদের মাঝে আমি একা। কিন্তু তেমন কোনও অস্বস্তি নেই। ইচ্ছে ছিল বরণ করার, করেছি। নিয়ম বিরুদ্ধ অনেকেই বলতে পারেন। তবে নিয়ম মেনে কে কী করছেন, সেটা সকলেই দেখতে পাচ্ছেন। ঈশ্বরের কাছে পৌঁছাতে মানুষের তৈরি করা নিয়ম ভাঙতে আর কী! বিবাহিত হলেই শুধু বরণ করতে পারি, এমনটা আমি বিশ্বাস করি না।’
স্বস্তিকার মতে নারী স্বাধীনতার প্রতীক সিঁদুর খেলা। এর জন্য বিবাহিত মহিলা হতেই হবে এর কোনও মানে নেই। তার কথায়, ‘মা দুর্গা তো যুদ্ধ করছিলেন। নারীশক্তির জয়কে সিঁদুর খেলার মাধ্যমে আমরা উদযাপন করি। এই লাল রংটাকে আমরা খুব পবিত্র হিসাবে মানি। আসলে এই গতবাঁধা ধারণাগুলো বাদ দেওয়া প্রয়োজন। আমি যেটা ঠিক মনে হয় সেটাই করি। আর নাম থাকলে বদনামও হবে।’
দেবী দুর্গার পুজা করলেও নিজের জন্য তেমন কিছু চাইতে পারেননি স্বস্তিকা। প্রতিমার সামনে গিয়ে অপলক দৃষ্টিতে কেবল তাকিয়ে ছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমি নিজের জন্য কিছু চাইতে পারি না সঙ্গে সঙ্গে। হয়তো চাওয়ার অনেক কিছুই আছে। কিন্তু সেসময়ে স্তব্ধ হয়ে যাই।’
তবে এ বছরের পুজা নিয়ে কোনও উত্তেজনা ছিল না স্বস্তিকার। পুজাটা যেন নিমেষে কেটে গেল। এভাবেই পুজাটা এবার যেন হওয়ার ছিল। দেবী দুর্গাও নিজের অস্তিত্ব সেভাবে বোঝাতে চাননি এবার। মনে করছেন স্বস্তিকা।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত