সব দ‌লের মতামত না নি‌লে সংস্কার টেকসই হ‌বে না: জিএম কা‌দের

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ব‌লে‌ছেন, সব দ‌লের মতামত না নি‌লে সংস্কার টেকসই হ‌বে না। ‌জাতীয় পা‌র্টিসহ দে‌শের বড় রাজনৈতিক দল ছাড়া নির্বাচনও গ্রহণ‌যোগ্য হ‌বে না।

আজ বুধবার দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবা‌গিচায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। রাজধানীর আইডিইবি মিলনায়তনে এ সভার আয়োজন করেছিল দলটি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি না পাওয়ায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি পালন ক‌রে তারা।

জিএম কাদের বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক নিবন্ধিত দল, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করার অধিকার আমাদের আইনগত অধিকার, তা কর‌তে দেওয়া হ‌চ্ছে না। নিরাপত্তার কথা ব‌লে সমা‌বে‌শের অনুম‌তি দিচ্ছে না। কেউ হুমকি দিয়ে থাকে, রাষ্ট্রের দায়িত্ব ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করার, রাষ্ট্র সেটি পালন করছে না। বৈষম্য মুক্ত দে‌শের কথা বলা হলেও ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসর ব‌লে রাজনী‌তি‌তেও বিভাজন করা হ‌চ্ছে। বিনা বিচারে নির্যাতন, হয়রানি মামলা দেওয়া, বাড়ি-ঘর, ব্যবসা-প্র‌তিষ্ঠা‌নে হামলা করা হ‌চ্ছে। হত্যার বিচারের নামে প্রহসন করা হচ্ছে।

তিনি আরও ব‌লেন, আমরা এটাকে ফ্যাসিবাদ হিসেবে দেখছি, নব্য ফ্যাসিবাদ আবার চেপে বসেছে। ৪৮ দলের মধ্যে ৩০টি দলকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করা কথা ভাবা হ‌চ্ছে।

জাতীয় পা‌র্টির চেয়ারম্যান ব‌লেন, আমাদের দেশের কোনো সরকার ক্ষমতা ছাড়‌তে চায় না, এর অন্যতম কারণ ক্ষমতা ছাড়ার পর অত্যাচারিত হয়। যেমন‌টি হ‌য়ে‌ছিল এরশা‌দের সঙ্গে। শা‌ন্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তা‌কে জে‌লে যে‌তে হ‌য়ে‌ছিল।

তিনি ব‌লেন, কেউই নিরাপদ নয়, কে, কখন, কিভাবে ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে যাবেন, বলতে পারবেন না। যেভাবে দেশকে বিভক্ত করেছে, সুষ্ঠু নির্বাচন কিংবা সংস্কার করতে সক্ষম হবেন না।

সমাবেশে পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। সভা করার জন্য ডিএমপির কাছে আবেদন দিয়েছিলাম, মৌখিকভাবে অনুমতি দেয়, নিয়ম মেনে সভা করতে চেয়েছিলাম। পরে অনুমতি বাতিল করা হয়। কী কারণে সভা করতে দেওয়া হলো না, আমরা জানতে পারিনি।

তিনি বলেন, ১ হাজার ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। তারই ফল আজকের সরকার, কিন্তু আমাদের কেন এই কর্মসূচি করতে দেওয়া হলো না?

কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এই পতাকা থাকত না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। যার যে অবদান তা স্বীকার করতে হবে। অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ৩২ বছর ধরে বৈষম্যের শিকার, যখন যে দল ক্ষমতায় এসেছে তারা নির্যাতন করেছে, দমিয়ে রাখতে চেয়েছে। আমাদের মামলা রয়ে গেছে, আওয়ামী লীগ-বিএনপির মামলা উঠে গেছে। জাতীয় পার্টি কখনও মাথা নত করেনি, যে ধরনের পরিস্থিতি হোক জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশ নেবে।