টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিস্ট বলে কোন কিছু নেই। আমরা সবাই একটি পরিবারের মানুষ। কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, এ নিয়ে কোন বৈষম্য হবে না। সকলে মিলেই উৎসবমুখর পরিবেশে দূর্গাপুজা উদযাপন করবো। এবারের পূজা হবে নতুন বাংলাদেশের পূজা। গতকাল সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টা মির্জা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেন, গত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে এক হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। তারমধ্যে অধিকাংশ তরুণ বয়সের। কাজেই এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক বেশি।
তিনি আজ ভাসানীর জীবন ও দর্শন দেশের পাঠ্য বইয়ে অন্তভুক্তকরণ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের জন্ম হতো না যদি মাওলানা ভাসানী না থাকতেন। মাওলানা ভাসানী সারা বাংলাদেশের নেতা। বাংলাদেশে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন মাওলানা ভাসানী। তিনিই প্রথম ফারাক্কা বাঁধের প্রতিবাদ করেছিলেন। আগামী প্রজন্মকে ভাসানী সম্পর্কে জানার জন্য তার জীবন ও দর্শন দেশের পাঠ্য বইয়ে অন্তভুক্তকরণ করতে হবে।
ভারত আমাদের জল সীমানায় ঢুকে ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারত আমাদের জলসীমায় থাকায় প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। তবে এটি বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশে অবৈধ কারেন্ট জাল ও চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করা হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইল পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু প্রমূখ । এসময় জেলা ও সকল উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ, সকল মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ ও সুধীজনরাউপস্থিত ছিলেন।