শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখনই বন্ধ নয়: শিক্ষামন্ত্রী

7

করোনাভাইরাস ইস্যুতে এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিষয়ে ভাবছে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, জীবনযাপন যতখানি সম্ভব স্বাভাবিক রেখে করোনা মোকাবিলা করতে চাই। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যদি করোনার সংক্রমণ বাড়ার কারণে ক্লাস নেওয়া সম্ভব না হয়, সেক্ষেত্রে তো অনলাইন ক্লাসে যেতেই হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখনও আমরা অনলাইন ক্লাস-অ্যাসাইনমেন্ট চালু রাখছি যাতে কেউ পিছিয়ে না পড়ে। তবে যেখানে অনলাইন ক্লাস সম্ভব নয়, সেখানে অ্যাসাইনমেন্ট চালু থাকবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের একটি অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। ২-১ দিনের মধ্যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসব।

দীপু মনি বলেন, করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে আমরা দেখি, কতটা পরীক্ষা হচ্ছে, তার মধ্যে কতটা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। ওমিক্রনকে অনেকেই হালকাভাবে নিচ্ছেন। তবে ভুলে গেলে চলবে না আমাদের দেশে ওমিক্রনের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। কাজেই আমাদের স্বাস্থ্য সচেতন হতে হবে।

এসময় তিনি জানান, সোমবার পর্যন্ত ১২-১৮ বছর বয়সী ৮৫ লাখ শিক্ষার্থী করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে ক্লাস নেওয়া সম্ভব না হলে অনলাইন ক্লাস চালু থাকবে। যেসব জায়গায় অনলাইন ক্লাস চালানো সম্ভব হবে না সেখানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট নেওয়া হবে।

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে আমরা বিভিন্ন প্রস্তাব পেয়েছি। তারা কারিগরি শিক্ষা সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চালু করার প্রস্তাব করেছেন। আমরা তাদের জানিয়েছি, এরই মধ্যে সেই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগে পুল গঠন করা অর্থাৎ এই প্রক্রিয়ায় জেলা প্রশাসনকেও অন্তর্ভুক্ত করা, ম্যানেজিং কমিটির কাজে স্বচ্ছতা নিয়ে আসা, উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য কমিটি গঠনসহ নানা প্রস্তাব এসেছে। আমাদের মনে হয়েছে, প্রস্তাবগুলো ভালো। তাই আমরা এগুলো করব।