লিভারপুলকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পিএসজি

নিজেদের মাঠে প্রাণপণ লড়াই করেছে পিএসজি। তবে সফল হয়নি। পরে কামব্যাকের ঘোষণা দেয় তারা। সেটিরই প্রতিফলন ঘটলো অ্যানফিল্ডে। আক্রমণের স্রোত বইয়ে দিয়ে এগিয়েও গেল তারা। তবে বাকি সময়টা লিভারপুল লড়লো। আলিসন বেকার দাঁড়ান দেয়াল হয়ে। যদিও টাইব্রেকারে আর পারেননি। জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাই নায়ক বনে গেলেন। দুটি সেভ দিয়ে জেতালেন পিএসজিকে।

গতকাল রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে নির্ধারিত সময়ে ওসমান দেম্বেলের একমাত্র গোলে লিভারপুলকে ১-০ ব্যবধানে হারায় পিএসজি। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়ার কারণে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও কোনো গোল না হলে টাইব্রেকার পর্যন্ত আসে। আর ৪-১ ব্যবধানে পরবর্তী পর্বের টিকিট কাটে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।

নিজেদের মাঠে শুরুতেই গোল হজম করে লিভারপুল। দ্বাদশ মিনিটে বার্কোলাকে বল বাড়িয়ে বক্সের দিকে এগিয়ে যান দেম্বেলে। বার্কোলার ফিরতি পাস ঠিকঠাক ক্লিয়ার করতে পারেননি লিভারপুল ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাতে। সেখান থেকে পায়ের টোকায় জাল খুঁজে নেন সাবেক বার্সা ফরোয়ার্ড। গোল হজম করে পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে লিভারপুল। তবে প্রথমার্ধে তারা আর সফলতা দেখেনি।

বিরতির পর পিএসজির জালে বল পাঠায় লিভারপুল। তবে অফসাইডের কারণে সেটি বাতিল হয়। তবে চেষ্টা থামায়নি স্বাগতিকরা। কিন্ত প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন দোন্নারুম্মা। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। তবে গোলের দেখা পায়নি কেউই।

টাইব্রেকারে পিএসজির সবাই সফল স্পট কিক নিলেও লিভারপুলের হয়ে কেবল পেরেছেন মোহামেদ সালাহ। দারউইন নুনেস ও কার্টিস জোন্সের পেনাল্টি ঠেকিয়ে উচ্ছ্বাসে ভাসেন দোন্নারুম্মা।