লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহত বেড়ে ৪২

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি ‘অভিযান’ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তাদের উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চলছে।

শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ঝালকাঠি ও বরিশালের ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল লঞ্চঘাট এলাকা থেকে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে।

ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান, লঞ্চে আগুন লাগার পর অনেকে জীবন বাঁচাতে নদীতে লাফ দেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বেঁচে ফিরলেও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। তাদের উদ্ধারে ডুবুরি দল সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করবে।

সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, নিখোঁজদের সন্ধানে সুগন্ধার তীরে অপেক্ষায় আছেন ৩৬ পরিবারের স্বজনরা। কেউ আবার ট্রলার নিয়ে নদীর বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজে বেড়াচ্ছেন প্রিয়জনকে। কারও হাতে নিখোঁজদের ছবি। তা নিয়ে নদী তীরের বাসিন্দাদের দেখাচ্ছেন, আর বিলাপ করছেন। কেউ আবার নদী তীরের মিনিপার্ক, ডিসিপার্ক, লঞ্চঘাট এবং ঘটনাস্থল দিয়াকুল এলাকায় ঘুরছেন। অন্তত নিখোঁজ স্বজনদের মরদেহ যেন বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন, সেই অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।

২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাওয়া এমডি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭০ জনের বেশি। তাদেরকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল ও ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।