ঢাকা-বরিশাল নৌ-রুটের যাত্রীবাহী বিলাসবহুল এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চ থেকে শারমিন আক্তার নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে বরিশাল নৌ-বন্দরে নোঙর করা কুয়াকাটা-২ লঞ্চটির নিচতলায় পেছনের দিকে স্টাফ (গ্রিজার/লস্কর) কেবিন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম জানান, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে জানা গেছে তরুণীর নাম শারমিন আক্তার। তিনি ঢাকার কুনিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মো. এনায়েত ফকির ও মা নুরুন নাহার।
কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ সোহাগ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুই তরুণ-তরুণী ১৮০০ টাকায় বিলাসবহুল লঞ্চের ওই স্টাফ কেবিনটি ভাড়া নেন। লঞ্চটি ছাড়ার সময়ও তারা একসঙ্গে ছিলেন। রাত ১১টার দিকে একজন লস্কর তাদের টিকিট দিতে কেবিনে গেলে তাদের স্বাভাবিক অবস্থাতেই দেখতে পান।
সোহাগ আরও বলেন, শুক্রবার সকালে লঞ্চটি বরিশাল ঘাটে নোঙর করলে সব যাত্রী নেমে গেলেও ওই কেবিনের যাত্রী বের না হওয়ায় আমরা গিয়ে দেখি কেবিনের দরজা তালাবদ্ধ। ভেতর থেকে কারো সাড়াশব্দ পাওয়া যাচ্ছিল না। তালা দেখে বুঝেছি হয়তো তারা চলে গেছেন। কিন্তু মনের সন্দেহে অন্য একটি চাবি দিয়ে তালাটি খুলে দেখি কেবিনের খাটে ওই তরুণীর লাশ পড়ে আছে। বিষয়টি সবাইকে জানালে নৌ-পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে নৌ-পুলিশ বরিশাল অঞ্চলের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানান, ওই তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার সঙ্গে থাকা তরুণকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সেই তরুণের সন্ধান করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, লঞ্চ টার্মিনাল ও লঞ্চের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সঙ্গে থাকা ব্যক্তিকে শনাক্ত করার পাশাপাশি তরুণীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে।