জাফর আলম, কক্সবাজার
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক বাংলাদেশিসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দিনভর উখিয়ার ১৪ এবং ১৫ নং ক্যাম্পে দুই পক্ষের ব্যাপক গোলাগুলি চলে, এতে বাংলাদেশীসহ গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। গুলিবিদ্ধরা হলেন- উখিয়ার পালংখালীর মোহাম্মদ বেলাল (৩৯), উখিয়ার জামতলী ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পেন ডি-৭ ব্লকের বাসিন্দা হোসেনের পুত্র ওমর ফারুক (৩০), একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৩ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুর রশিদের পুত্র মোঃ ইউনুস (২৫), উখিয়ার ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের বাসিন্দা মোঃ আলসের পুত্র আবদুল্লাহ (১৮) ও একই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুল গনির মেয়ে হামিদা (৫০)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর।
তিনি জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। বর্তমানে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তবে কে বা কারা করছে সেটি জানা যায়নি।
একাধিক সূত্র বলছে, ৫ আগস্টের পর থেকে ক্যাম্পে আরসা নতুন করে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা করছে, বিভিন্ন ক্যাম্পের নিয়ন্ত্রণ নিতে আরসা প্রায় সময় আরএসওর সাথে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে দুই পক্ষই ভারি অস্ত্র ব্যবহার করে গোলাগুলি করেছে ক্যাম্পে। এতে রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
এদিকে গোলাগুলির বিষয়ে পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন জানান, ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনায় বাংলাদেশি একজন আহত হয়েছেন। তাছাড়া ক্যাম্পের অভ্যন্তরে বসবাস করা বাংলাদেশি বাসিন্দারা বেশ আতঙ্কে আছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গোলাগুলির কারণে আতঙ্কিত স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছে, তাছাড়া তাঁরা ঘর থেকে জরুরি কাজ ছাড়া বের হচ্ছেন না বলেও জানিয়েছেন।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত