রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনে রাজি ভারত

রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিরাপদে তাদের দেশে ফেরত পাঠাতে ভারতের সহযোগিতা চেয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান।

অন্যদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেছেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় ভারত। সেই লক্ষ্যে ভারত সরকার কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প এক্স:- ৪ এ রোহিঙ্গাদের মাঝে ভারত সরকারের দেয়া সেলাই মেশিন, ফ্যামিলি টেন, অফিস টেন ও রেসকিউ কিট বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে তারা গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেছেন।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: এনামুর রহমান বলেছেন, মানবিক সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কাজ করছে ভারত। ইতোমধ্যে ভারত মিয়ানমারের সাথে এ বিষয়ে আলোচনাও করেছে।

তিনি ভারতের সরকারের উদ্দেশে বলেন, অনেক দিন ধরে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে। এদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে কাজ করা জরুরী। এ ব্যাপারে ভারতের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।

এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে নিরাপদ ও টেকসইমূলক প্রত্যাবাসন চায় ভারত সরকার। তার জন্য সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী দাশ বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের পর থেকে বাংলাদেশের পাশে আছে ভারত সরকার। তারই অংশ হিসেবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য বেশ কিছু বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। যাতে বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসিত হয়ে ফেরা রোহিঙ্গারা সেখানে থাকতে পারেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও কাজ করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা নারীদের সেলাই মেশিন চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। সেখান থেকে ১ হাজার জনকে এ মেশিন বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি ৯৯ রোহিঙ্গা পরিবারকে ফ্যামিলি টেন, ৩২ অফিস টেন ও আরও ৩২ পরিবারকে রেসকিউ কিট দেয়া হয়।

বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ কামাল, শরনার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মাহবুব আলম তালুকদার, অতিরিক্ত শরনার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত শরনার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার সামশুদ্দোজা নয়ন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।

সেসময় সেলাই মেশিন পেয়ে খুশি হন রোহিঙ্গারা। তারা বলেন, এর মাধ্যমে তারা এখানে আরও ভালোভাবে থাকতে পারবে।