রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।
ইউএনবি জানায়, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা হলে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত সোহরাব মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।
তার সহপাঠীরা জানায়, সোহরাবের বাম হাতের কনুইয়ের ওপর ও নিচে দুই জায়গায় ভেঙে গেছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মোট ১৫টি সেলাই দেয়া হয়েছে।
মারধরে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মী হলেন: আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। তারা দু’জনই শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বে রয়েছেন এবং শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়ার অনুসারী।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ছাত্রলীগ কর্মী আসিফ লাকের নেতৃত্বে সোহরাবসহ ফিন্যান্স বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে হলের তৃতীয় ব্লকের ২৫৪ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সোহরাবকে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন আসিফ লাক ও হুমায়ুন কবির নাহিদ। এক পর্যায়ে তারা দুজন মিলে সোহরাবকে রড দিয়ে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে তার মাথা ফেটে রক্ত বের হলে তারা মারধর বন্ধ করেন।
পরে সোহরাবের বন্ধুরা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমান সে রামেক হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মীরা সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে দুজনের মোবাইল নম্বর বন্ধ এবং তাদের ফেসবুক আইডি ডিঅ্যাক্টিভ রয়েছে।
এ ব্যাপারে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. জুলকারনাইন বলেন: আমি ঘটনাটি শনিবার সকালে জেনেছি। এরপরই হল প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।
গত ৬ অক্টোবর বুয়েটের ইলেকট্রিকাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে (২১) শের-ই-বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত