লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নেওয়া পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইটভাটা বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার সাধারণ মানুষ। শনিবার সকালে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড চরআফজল কয়েকশ’ গ্রামবাসী বিক্ষোভ করে। মৌসুম শুরুর আগেই অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবি করেছেন তারা।
এলাকাবাসীর দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে এ এলাকায় দুটি বাংলা ইটভাটা চালু রয়েছে। এতে করে গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার শ্বাসকষ্ট, কাশি, এলার্জিজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
প্রথমে বড়খরী ইউনিয়ের বাসিন্দা আরমান হোসেন মিরাজ রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এফএবি নামক একটি বাংলা ইটভাটা স্থাপন করেন। বেশি পরিমাণে লাভের মুখ দেখায় একবছর পরেই তার শ্যালক মো: সোহাগকে দিয়ে ফাতেমা নাজ আফরা ব্রিক্স নামক আরো একটি ইটভাটা স্থাপন করান। এর ফলে দুটি ইটভাটার ৮টি চিমনীর ধোঁয়ায় এলাকার ফসলি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, মানুষের ঘরের টিন, রাস্তাঘাট, জমির উর্বর মাটিসহ নানান ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটছে। ইটভাটার ভারি যানবাহন চলাচল করার সংষ্কারের এক বছরেই মধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে ৪ কিলোমিটারের রশিদীয়া সড়ক। প্রভাবশালী হওয়ায় এলজিইডি’র ভারী গাড়ি চলাচল বন্ধে দেওয়া লোহার প্রতিবন্ধকতা গেটটিও ভেঙ্গে ফেলেছে ভাটা মালিকরা। ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারতেন না।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় আবদুল করিম, মো: বেলাল হোসেন, মো: মামুন এবং সাহেদসহ প্রমূখ ব্যক্তিবর্গ। তাদের দাবি সরকারের নিয়ম-কানুন মেনে ইটভাটা সংষ্কার না করা হলে বাংলা ইটভাটা পূনরায় চালু করতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজনীয় গ্রামবাসী একজোট হয়ে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করার জন্য আন্দোলনে নামবেন।
বিক্ষোভকারীরা ইটভাটার আশপাশের কয়েকটি বাড়ি গণমাধ্যমকর্মীদের ঘুরে দেখান। সেসব বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে প্রত্যেকটি বাড়ির নারকেল গাছ, সুপারিগাছসহ ইত্যাদি ফল-ফলাদি গাছ গুলো পাতা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। ক্ষেতের ফসল জ্বলে নষ্ট হয়ে গেছে। তারা অবিলম্বে অবৈধভাবে স্থাপিত বাংলা ইটভাটা বন্ধ করার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবি জানান।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত