রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের প্রতি চসাসের আহ্বান

 

চচট্টগ্রাম প্রতিনিধি।,,

রমজান এলেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে জনগনের পকেট কেটে নিয়ে যায় এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী। নির্বাচনের পর থেকে চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজসহ দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া নিয়ন্ত্রণহীন। ফলে রমজান মাসে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে যাবে। এসব বিষয় উল্লেখ করে রমজানে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক সংস্থা (চসাস)।

বুধবার (১৩ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ দিদার আশরাফী ও সাধারণ সম্পাদক ওসমান এহতেসাম এ আহ্বান জানান।

 

বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি চলছে। রমজান মাসেও পাইকারি বাজার গুলোতে একই অবস্থা। এ অবস্থায় মুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভয়াবহ সংকট তৈরী হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। সম্প্রতি দেশের ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন। সেখানে প্রায় প্রত্যেকটা পণ্য কেনার চেয়ে দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে। অভিযানে দেখা যায়, ১৪৫০ টাকার এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩১০০ টাকায়।

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে গেলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষ। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত শ্রেণিও ভোগান্তির শিকার হন। এবারের রমজান মাসে যাতে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং শ্রমজীবীসহ সব স্তরের মানুষ যাতে উপকৃত হয়, সেজন্য দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন চসাস নেতারা।

 

রমজানে খাদ্যদ্রব্যের মূ্ল্যবৃদ্ধি না করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, এই মাসটি পরস্পরের প্রতি সাহায্য-সহানুভুতির মাস। নিত্যপণ্যের দাম চড়া থাকলে সমাজের গরিব, এতিম, অসহায় ও সাধারণ অনেক রোজাদার চাইলেও মনমতো ইফতার ও সেহরি করতে পারে না। তাই রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রেখে রোজাদারদের ইফতার সেহরিতে বিশেষ সহায়তা করার আহ্বান জানানো হয়।