অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ায় আলোচিত বক্তা মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে দাবিতে একটি কথা ফেসবুকে ছড়িয়েছে।
তবে এটি সত্য নয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তথ্য যাচাই সংস্থা ফ্যাক্টওয়াচ।
ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর নামে হওয়া মামলাটির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় একটি মাহফিলকে কেন্দ্র করে পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে কি-ওয়ার্ড সার্চে তাহেরীর নামে মামলার ঘটনায় বেসরকারিন সম্প্রচার মাধ্যম চ্যানেল ২৪-এর ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়।
সেখানে বলা হয়, ‘শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনটি থেকে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়ায় ইসলামী বক্তা গিয়াস উদ্দিন তাহেরীর উস্কানিতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে আখাউড়ায় মামলা করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন জনকে।’
প্রতিবেদনটিতে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ছমিউদ্দিনের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘পুলিশের ওপর হামলায় ঘটনায় তাহেরীকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নামে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।’
দেশের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম সূত্রেও একই তথ্য জানা যায় বলে উল্লেখ করেছে ফ্যাক্টওয়াচ।
এ ছাড়া তাহেরীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ঘুরেও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যটির সত্যতা পাওয়া যায়। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘পুলিশ মাহফিলে বাধা দেওয়ার পরও আমি কি উসকানি দিয়েছিলাম, নাকি প্রশাসনের পক্ষে কথা বলেছিলাম? তারপরও আমার বিশ্বাসের পুলিশ প্রশাসন আমাকেই আসামি করলেন। আল্লাহ ভরসা।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের একটি লেকচারের খণ্ডিত অংশ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। তবে তাহেরীর ফেসবুক স্ট্যাটাস ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, তাহেরীর নামে করা মামলাটির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য নিয়ে স্ট্যাটাস দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
তাই ফ্যাক্টওয়াচ দাবিটিকে মিথ্যা হিসেবে সাব্যস্ত করছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত