রাজধানীর গণপরিবহন মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ভ্যাট আরোপের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ করে কারা, কেন মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করার ঘোষণা দিলেন, সেটা সরকার জানে না।
জুলাই থেকে মেট্রোর ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপের বিষয়ে এনবিআরের চিঠির প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেছেন সড়কমন্ত্রী। বলেন, মেট্রোরেলের ভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত হয়নি। কারা, কোথা থেকে এ সিদ্ধান্ত নিলো সেটা আমরা কিছুই জানি না।
এসময় মেট্রোরেলে ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই এ ধরনের খবর প্রকাশ হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের জানান, মেট্রোরেল গণপরিবহণ হিসেবে মানুষকে বিশেষ সেবা দিচ্ছে। আর জনগণও এর সুফল পাচ্ছে। জুলাই মাসের এখনও অনেক বাকি। আমরা এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তও নিইনি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কোনো সিদ্ধান্ত হওয়ার আগে হুট করে কারা এ ধরনের খবর দিল আমি জানি না। এই বিষয়টি সাংবাদিকদের জিজ্ঞেস করা উচিত ছিল। তারা কিন্তু আসল জায়গায় যায়নি। মেট্রোরেলের টিকিটের উপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয় মেট্রোরেল পরিচালনাকারী ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানিকে (ডিএমটিসিএল)। সেখানে বলা হয়, আগামী জুলাই থেকে মেট্রোর ভাড়ার ওপর ভ্যাট দিতে হবে। ভ্যাটের হার হবে ১৫ শতাংশ।
এর প্রতিক্রিয়ায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, এটা অপ্রত্যাশিত। ভ্যাট বসানোতে বাড়বে টিকেটের দাম, যা জনগণের উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করবে।
যাত্রীদের সুবিধার কথা ভেবে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর থেকে মেট্রোরেলের ভাড়ায় ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত বছরের মে মাসে ভ্যাট মুক্ত ভাড়ার সময় আরো বাড়ানো হয়। তখন বলা হয়, অব্যাহতির এই সুবিধা বহাল থাকবে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। সম্প্রতি ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ বাড়াতে এনবিআরকে চিঠি দেয় ডিএমটিসিএল। কিন্তু তাদের আবেদন নাকচ করে জুলাই থেকে ভ্যাট বসানোর চিঠি পাঠিয়েছে এনবিআর।
চিঠিতে বলা হয়েছে, উন্নয়নের চাহিদা অনুযায়ী, রাজস্ব আয় বাড়াতে সব খাতেই করের ছাড় কমানো হচ্ছে। তাই এ খাতের ভ্যাট অব্যাহতি বাড়ানো হবে না।