মিয়ানমারে পণ্য পাচারের পর গরু আনতে গিয়ে পৃথক মাইন বিস্ফোরণে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আলী হোসেন (৪০) ও রাশেদুল ইসলাম (২৭) নামে দুজনের বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টায় মিয়ানমার সংলগ্ন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকায় সেখানে মিয়ানমার বিদ্রোহীদের পুঁতে রাখা মাইনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আলী হোসেন আশারতলী গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় সীমান্তের আরেক পয়েন্ট জামছড়ি এলাকায় মাইন বিস্ফোরণে স্থানীয় আরিফ উল্লাহ (৩০) গুরুতর আহত হন। তিনি সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জাফর আলমের ছেলে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান,আলী হোসেনসহ কয়েকজন চোরাকারবারি সীমান্তের ৪৭/৪৮ নং সীমান্ত পিলারের কাছে ২-এস পয়েন্টে গেলে বিকট শব্দে মাইন বিস্ফোরিত হয়।পরে সঙ্গে থাকা লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
এছাড়া উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের কুলাছি সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার থেকে পাচারকৃত গরু আনতে যায় মোঃ রাশেদুল ইসলাম (২৭), জাহিদুল ইসলাম (১৬), জিয়া উদ্দিন (৩৪) ও মোঃ বেলাল (২০) নামে ৪ ব্যাক্তি। এ সময় মাইন বিস্ফোরণে আরিফ উল্লাহর পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এই বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম জানান, মাইন বিস্ফোরণে পৃথক তিনজন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় বিষয়টি বিজিবি দেখছেন।
জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের জন্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন পণ্যের পাচার বেড়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ও গর্জনিয়া বাজার থেকে এসব মালামাল পাচারের পাশাপাশি ওপার থেকে আসছে ইয়াবাসহ অবৈধ গরু।
প্রতিদিন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার আশারতলী, ফুলতলী, জামছড়ি, চাকঢালা, লেমুছড়ি, ঘুমধুম ও তুমব্রু এলাকা দিয়ে লাখ লাখ টাকার মালামাল পাচার হয়। এর সঙ্গে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতাকর্মীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। চোরাকারবারিরা প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট মজবুত করেছে।