এম. মতিন
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের মামলা করায় প্রবাসী পরিবারের ওপর ফের হামলার হুমকি দিয়েছে হামলাকারীরা। এমনকি মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছেন বলেও জানান মামলার বাদী। বর্তমান প্রবাসী পরিবারটি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এসব কথা জানান মামলার বাদী রেজাউল করিম।
জানা যায়, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার দক্ষিণ সৈয়দ বাড়ীর সদর আলী মুন্সি বাড়ী গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহ গায়ের সাথে একই গ্রামের আব্দুর নবীর ছেলে আব্দুল গফুরের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে বিজয় মিছিল করাকালীন সময় রাত সাড়ে ১১ টায় মামলার আসামী আব্দুল গফুর ও তার ছেলে আব্দুল মজিদ, আব্দুল ছবুর, আব্দুল সুবান, আব্দুল মনা, মেয়ে ছলিমা খাতুন, আব্দুল মজিদের মেয়ে মুনা আক্তার ও বাদশার ছেলে আরমানের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ৩০/৩৫ জন সন্ত্রাসী নিয়ে রেজাউল করিম এবং প্রবাসী দুই ভাই ফজল করিম ও আবদুল করিমের বাড়ীতে হামলা চালায়।
এরপর ৬ আগস্ট সকালে ফের আবারো সশস্ত্র হামলা চালিয়ে বড় হাতুড়ি ও বল্লম দিয়ে ঘরের পাকা বাউন্ডারি ওয়াল ও ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় আসামিরা ঘরে থাকা আসবাবপত্র ভাংচুর করলে বাদী ও তার ভাইয়ের স্ত্রীরা তাতে বাধা দিলে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। একই সাথে আসামিরা ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর এবং ঘরের আলমিরা ভেঙে গচ্ছিত টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রবাসী পরিবারের প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ক্ষতিসাধন হয় বলে জানান পরিবারটি।
এ নিয়ে রেজাউল করিম বাদী হয়ে গত ১২ আগস্ট প্রথমে রাঙ্গুনিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের ও পরে ২০ আগস্ট চট্টগ্রাম চীপ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ( সি আর মামলা নং ৪১৩/২৪ইং, ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৪২৭/৩২৩/৩০৭/৩২৭/৩৭৯/৩৮০/৫০৬(২)৩৪ দ:বি:) একটি মামলা করেন। এরপর থেকে আসামিরা মামলা তুলে নিতে চাপ ও হুমকি দিতে থাকে। এতে প্রবাসী পরিবারের সদস্যরা বাড়িছাড়া হয়ে আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন।
এ বিষয়ে বাদীর আইনজীবী এ্যাড: মো. রাশেদ পারভেজ বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা ডিবিকে আদালত নির্দেশ দিয়েছেন এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে রিপোর্ট জমা দিতে জানানো হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: ইমরান খান
কার্যালয়: গ-১৩৩/৩, প্রগতি স্মরণী, মধ্য বাড্ডা, ঢাকা-১২১২। মোবাইল: ০১৮৫৩-৫৪৬২৫৪
প্রিয়দেশ নিউজ কর্তৃক সর্বসত্ব ® সংরক্ষিত