মারামারির ঘটনায় আহত রোগীরা সাংবাদিকদের কাছে তাদের অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য দেওয়ায় তাদের মেডিকেল সার্টিফিকেট আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার ফারহানা নবী।
সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাংবাদিকরা রোগীদের বক্তব্য নিতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুইজন আহত হয়। এ ঘটনায় দৈনিক বাংলাদেশের আলো পত্রিকার মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম ও চ্যানেল এস টিভির মানিকগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আফ্রিদি আহাম্মেদর ভিডিও চিত্র ও তথ্য সংগ্রহকালে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার এই হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী শামীম হোসেন বলেন, আমার বাবা-মা হাসপাতালে ভর্তি সাংবাদিকদের মারামারি বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এমবিবিএস ডাক্তার এসে আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের তথ্য দিয়েছেন। আপনি আপনার বাবা মায়ের মেডিকেল সার্টিফিকেট কীভাবে নেন আমি তা দেখবো।
সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম ও আফ্রিদি আহাম্মেদ জানান, সিংগাইর ধল্লা ইউনিয়নের বাস্তা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ৪ জন আহত হয়। এর মধ্যে ২ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেএক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। সেখানে সংবাদ সংগ্রহকালে ডা. ফারহানা আমাদের বাধা প্রদান করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, কার অনুমতি নিয়ে এখানে আসছেন? আগে অনুমতি নিয়ে আসেন। অন্যথায় আমি থানায় ফোন দিব। একপর্যায়ে আমাদের ক্যামেরা বন্ধ করতে বাধ্য করেন এবং রোগীর স্বজনদের সার্টিফিকেট আটকে দেবার হুমকি প্রদান করেন। অতঃপর স্টাফদের তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা না বলার আদেশ দিয়ে চলে যান।
ডা. ফারহানা নবী তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ইনডোর মেডিকেল অফিসার। সার্টিফিকেট দেওয়া না দেওয়া আমার একতিয়ারে নেই। তিনি আরো জানান, হাসপাতালে অনেক রোগী থাকায় সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার্থে আমি তাদের ভিডিও ধারণ না করতে অনুরোধ করেছি মাত্র। এর চাইতে অন্য কিছু নয়।
এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা তাসনুভা মারিয়া ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আপনারা ভিডিও ধারণ করতে পারেন তাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে অনুমতি নিয়ে গেলে ভালো হয়। অভিযোগের বিষয়ে শুনেছি। আমি ঢাকা ডিজি অফিসে ট্রেনিং এ আছি। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
প্রিয়দেশ/মোমিনুর রহমান/মানিকগঞ্জ/সোহেল/