মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার

বগুড়ায় মুঠোফোন নম্বরের সূত্র ধরে মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামি আমিনুর ইসলামকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়েছে। সদর থানা পুলিশ রবিবার (১ নভেম্বর) গভীর রাতে তাকে সদরের কাহলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

সোমবার সকালে ছাত্রীর বাবা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। দুপুরে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। বিকালে সে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া আমিনুর বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাল হুসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির ও অন্যরা জানান, বখাটে আমিনুর ইসলাম বগুড়া সদরের কাহলা গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে। সে পেশায় সিএনজি অটোরিকশা চালক। গত ২৪ অক্টোবর থেকে সে মাদ্রাসাছাত্রীর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে কথা বলতে থাকে। নিজের নাম সাগর বলে জানায়। তিন দিনের মাথায় ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চায়। ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে ছাত্রীকে বার বার ফোন দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছাত্রী রাজি হয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে কৌশলে দাড়িয়াল দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে সদরের নুনগোলা এলাকায় অপেক্ষা করে। সাগর তাকে সিএনজিতে তুলে পাশ্ববর্তী একটি জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর তাকে ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয়। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বাড়িতে এসে বাবা-মার কাছে ঘটনাটি বলে। ছাত্রীর পরিবার ১ অক্টোবর রাতে সদর থানা পুলিশকে ধর্ষণের বিষয়টি জানায়। নিজের নাম মিথ্যা বলার কারণে অভিযুক্ত ভয় না পেয়ে নিজ বাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই অবস্থান করছিল।

পুলিশ বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশনে দেখে ফোন নম্বরটি এক বৃদ্ধের। রাত ২টার দিকে ফোন নম্বরের সূত্র ধরে কথিত সাগরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে সে ছাত্রীকে ধর্ষণ ও নিজের নাম আমিনুর ইসলাম বলে জানায়। পরে ছাত্রী তাকে শনাক্ত করে। এ ব্যাপারে ছাত্রীর বাবা সদর থানায় সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।